ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট


ইউএনভি ডেস্ক:

যশোরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়ার মামলায় ৮ পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২২ আগস্ট) কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।


অভিযুক্তরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে রানা হাসান, সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে বিপোদ সিংহ, কুমারেশ সিংহের ছেলে সুজল সিংহ, নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে অমিত কুমার বিশ্বাস, আন্দুলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান এবং গৌরীনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে আলিম উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আসামিরা কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন জেলায় যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

যাচাই-বাছাইয়ে ওই ৮ জনের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই ৮ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন যশোর পুলিশ রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক মশিউর রহমান। তদন্ত শেষে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ও আশিকুর রহমান ছাড়া অন্য সকলকে পলাতক দেখানো হয়েছে।


শর্টলিংকঃ