ভূয়া ছাড়পত্র দেখিয়ে স্কুলের সভাপতি বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মচারী


নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল অনাপত্তি (এনওসি) দিয়ে আমজাদ হোসেন নামে বিআইডাব্লিউটিএ এর নামে এক সরকারী কর্মচারীর ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বঞ্চিতদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিআইডব্লিউটিএর সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জাল অনাপত্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলীর দাবী, তাঁর কর্মচারী আমজাদ হোসেন স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার জন্য জাল এনওসি জমা দিয়েছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির জন্য সম্প্রতি তফশিল ঘোষণা করা হয়। তফশিলে সভাপতি পদে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মিঞা এবং সিরাজগঞ্জের বাঘা বাড়ি বিআইডাব্লিউটিএ এর কর্মচারী আমজাদ হোসেন ফরম উত্তোলন করেন।

এছাড়া মোট ১৩জন অভিভাবক সদস্য মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ও চাপ প্রয়োগ করে ৬ জনকে প্রত্যাহার করানো হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়টিতে সিলেকশন এর মাধ্যমে আমজাদ হোসেন কে সভাপতি এবং বাঁকি ৭ জনকে সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

তবে বিদ্যালয় থেকে আমজাদ হোসেনকে তার কর্মস্থলের অনাপত্তি বা এনওসি দিতে বলা হয়। পরে আমজাদ হোসেন বিআইডব্লিউটি এর সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অনাপত্তি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জমা দেন।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের এনওসিতে স্বাক্ষর দেখানো হলেও আমজাদ হোসেন বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে সিলেকশান হন ২৬ ফেব্রুয়ারী। তাছাড়া এই প্রতিবেদক আমজাদ হোসেনের এনওসি চ্যালেঞ্জ করলে তা জাল হিসেবে প্রমাণিত হয়।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, আমজাদ হোসেন আমার স্বাক্ষর করা যে এনওসি দিয়েছে, সেটা আমার না। তিনি জাল এনওসি দিয়েছেন।  আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আমি বিভাগীয় ব্যবস্থা  নেয়া হবে।

তবে অভিযুক্ত বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, আমার এনওসি ভূয়া বা জাল কিনা, সেটা বোর্ড চিঠি দিয়ে নিশ্চিত হোক। আমি মূল এনওসি দিয়েছি।

সিলেকশনের আগেই আপনার এনওসির স্বাক্ষর কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে আগেই এনওসি চাওয়া হয়েছিল, যার কারণেই ২২ ফেব্রুয়ারীর স্বাক্ষর করা এনওসি দিয়েছি।

এবিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে গেলে তার ডিপাটমেন্টের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) লাগবে। তবে কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে কেউ যদি জাল এনওসি দেয়, সেক্ষেত্রে ইউএনও বরাবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


শর্টলিংকঃ