রাজশাহীতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সেই বনরুই: যাবে শ্রীমঙ্গলে


নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুড়িগ্রামে উদ্ধার অতি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ‘বনরুই’ রাজশাহীতে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে ঈদের পর তাকে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে পাঠানো হবে। বর্তমানে পিঁপড়া, উঁই পোকাসহ নানা ধরনের পোকামাকড় ও সিদ্ধ ডিম খাচ্ছে বনরুইটি।

গত ২৩ মে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরে পাচারকারীদের হাত থেকে বনরুইটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ২৫ মে রাতে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয় প্রাণীটিকে। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশেই তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী বনরুইটি উদ্ধারের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শনিবার (২৫ মে) সেখান থেকে রাজশাহী নিয়ে আসা হয়। বনরুই এখানে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে। তাকে সবসময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে কখনো কখনো এদের দেখা পাওয়া যায়। তাই বনরুইটিকে সিলেটের শ্রীমঙ্গলেই পাঠানো হবে। তবে এখনই নয়, ঈদের পর। সব কিছু চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই বনরুইটি শ্রীমঙ্গল পাঠানো হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্ধার হওয়া বনরুইটি পুরুষ। এরা বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী। পিঁপড়া, উঁইপোকাসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে এরা বেঁচে থাকে। রাজশাহীতে নেওয়ার পর প্রাণীটিকে এই জাতীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বিকল্প খাদ্য হিসেবে সিদ্ধ করা ডিম ও গুঁড়া দুধ দেওয়া হচ্ছে বনরুইটিকে। প্রাণীটি নিয়মিত খাবার খাচ্ছে এবং ঘোরাফেরাও করছে।

এক সপ্তাহ প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। শরীরে আঁশযুক্ত স্তন্যপায়ী এই প্রাণীকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়া বাঁচানো কঠিন। তাই প্রাণীটিকে চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়নি। বনরুই থেকে মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয় এবং এর চামড়া দিয়ে দামি জিনিস তৈরি হয়। তাই এই প্রাণী পাচারের প্রবণতা বেশি থাকে।


শর্টলিংকঃ