রাজশাহীর আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপে রপ্তানি শুরু


আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) :
চলতি মৌসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়া রপ্তানি করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ২.৮ মেট্রিকটন হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম রপ্তানি করা হয়েছে।

রাস্তার দুই ধারে সারিসারি আম বাগান। সুস্বাদু জাতের আমের কথা উঠলেই চলে আসে রাজশাহীর নাম। রাজশাহীর আমের মধ্যে বাঘা উপজেলার আম বিখ্যাত। বাঘা উপজেলার মাটি গুনগত আম চাষের জন্য উপযোগি। ফলে বাঘার আমের খ্যাতি দেশজুড়ে।


জানা যায়, আম রপ্তানির জন্য ৫০ জন বাগান মালিককে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাষিরা কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি আম ঢাকা বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম বাগান পরিদর্শন করেন। ফলে এ উপজেলার আম বিদেশে রপ্তানি যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করার পর থেকে আম রপ্তানি শুরু করা হয়েছে।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে গুটি আম, গোপালভোগ ২০ মে, রানিপছন্দ ২৫ মে, খেরসাপাত (হিমসাগর) ২৮ মে, লখনা ২৬ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আমরুপালি এবং ফজলি ১৬ জুন, আশ্বিনা ১৭ জুলাই থেকে আম চাষিরা গাছ থেকে পেড়ে রপ্তানী শুরু করেছে।


কলিগ্রামের আম চাষি (লিড ফার্মার) আশরাফুদৌলা ও আড়পাড়া গ্রামের মহসীন আলী বলেন, ইতিমধ্যে আম রপ্তানি শুরু হওয়ায় কিছুটা আমের দাম পেয়ে চাষিরা খুশি। তবে গতবারের চেয়ে এবার আমের চাহিদা তুলনামূল বেশি রয়েছে।


বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, বাঘা উপজেলার মাটি আম চাষের জন্য উপযোগি। চলতি মৌসুমে ৩৩ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে। তবে ১ জুন থেকে খেরসাপাত (হিমসাগর) ১.৪ ও ল্যাংড়া ১.৪ মেট্রেকটন আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।


বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অনেক জায়গায় চাকরি করেছি, আমও খেয়েছি। কিন্তু বাঘার আমের স্বাদ ও গুণগতমান অতুলনীয়।

গত ৪ বছর থেকে শুরু হয়েছে এ আম রপ্তানি কার্যক্রম। হটেক্স ফাউন্ডেশন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে এ আম রপ্তানির কাজ শুরু করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ