রাবি’র তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল : উপাচার্যকে আদালতের ভর্ৎসনা


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত। নিয়োগে  আদালতের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও সিন্ডিকেটকে ভর্ৎসনা করেছে। শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উচ্চ আদালত এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেন, `যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল সে বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ১ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।  নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেটকে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত’।

এদিকে, শুনানি চলাকালীন আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে রায় ঘোষণার পূর্বে প্রশাসন যেন কোনো কিছু প্রসিড না করে। তা সত্ত্বেও গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড শুরু হয়। ওইদিন সন্ধ্যাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সভায় তিন সদস্য তাদের নিয়োগে বিরোধিতা করেন। এ ছাড়াও ভাইভা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানান। নিয়োগপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষকের নাম শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আব্দুস সোবহান বলেন,  আদালত ভর্ৎসনা করেনি। ভর্ৎসনার বিষয়টি তাদের মনগড়া। ভর্ৎসনার কথা ছড়ানো হলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তিনটি পদের বিপরীতে বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারণ করে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হয়নি। পরবর্তীতে গত বছরের ৩০ জুলাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের প্রশাসন। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য এগ্রিকালচারাল ক্যামেস্ট্রি নামে নতুন একটি বিষয় সেই বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হয়। এর পরপরই হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়।

আরও পড়তে পারেন আইপিএলে বাজিতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোপাট


শর্টলিংকঃ