৭ বছর আইনি লড়াই করে বেরোবি’র শিক্ষক হলেন ইউসুফ


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পর এবার দীর্ঘ ৭ বছর আইনি লড়াই করে অবশেষে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক হিসেবে মো. ইউসুফকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার লিয়াজো অফিসে অনুষ্ঠিত ৬২তম সিন্ডিকেটে মো. ইউসুফকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। এর আগে গত ৭ জুলাই মো. ইউসুফকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগবঞ্চিত মো. ইউসুফ যুগান্তরকে বলেন, ১ম স্থান অধিকার করার পরেও সাবেক এক ভিসির আমলে বাছাইবোর্ডের সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। সাত বছর আইনি প্রক্রিয়ার পর আমি ন্যায়বিচার পেলাম। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি আমার বিষয়টি দ্রুত বিবেচনা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মামলার কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকারের জন্য সাতজন আবেদনকারী বাছাই বোর্ডের সম্মুখীন হয়। তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে বাছাই বোর্ড। কিন্তু মেধাক্রমের ১ম জনকে বাদ দিয়ে তালিকায় থাকা ২য় ও ৩য় জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

পরে মেধা তালিকার প্রথম স্থানে থাকা মো. ইউসুফ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের প্রেক্ষিতে কেন তাকে নিয়োগ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে এবং ওই বিভাগে একটি ‘প্রভাষক’ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।


শর্টলিংকঃ