৮ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশংকা


রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা,অব্যবস্থাপনা কারণে রাণীনগর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষকের প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষয়তির আশংকা দেখা দিয়েছে।

৮ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশংকা

অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যায়ে রাণীনগর বাসষ্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক নতুন করে পাকা করণ, প্রশস্ত করাসহ ৪টি সেতু ও ২৩ টি কালভার্ট ভেঙ্গে নতুন করে নির্মান কাজের দরপত্র দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার মনোভাব নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। শুরু থেকেই থেমে থেকে ঢিমেতালে কাজ চলায় জনদুর্ভোগের শেষ নেই। কাজের সময়সীমা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থাকলে কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

হাতিরপুল নামক স্থানের রতনডারি খালসহ রক্তদহ বিলের ৪টি খালের পানি নিষ্কাশনের প্রায় ১২টি সেতু-কালভার্টের মুখে মাটি ভরাট করে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়। শুষ্ক মৌসুম পার হয়ে গেলেও ভরাটকৃত সেতু-কালভার্টের বন্ধ মুখ গুলোর মাটি অপসারণ না করায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। রক্তদহ বিলের চারিদিকে নওগাঁর রাণীনগর, বগুড়ার আদমদীঘি ও সান্তাহারের অংশ মিলে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রয়েছে ।

উপজেলার বিলপালশা গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান, বিলকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল মমিন, সিম্বা গ্রামের নাছির উদ্দীন, অভিযোগ করে বলেন, রাণীনগর উত্তর-পূর্বাঞ্চল,বগুড়া জেলার আদমদীঘি, সান্তাহারের আশে পাশের এলাকা থেকে পানি এসে রক্তদহ বিলে জমা হয়। এই পানি চারটি খাল এবং ১২টি সেতু-কালভার্ট দিয়ে বের হয়ে যায়।পানি বের হওয়ার সবগুলো পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে কোন সময় বৃষ্টিপাত হলে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত কাজ শেষ করে খাল, সেতু-কালভার্টের মূখ খুলে দেয়ার দাবিসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম কৃষকদের আশংকার কথা স্বীকার করে বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতু-কালভার্টের মূখ খুলে না দিলে বৃষ্টিপাতে ধানের ব্যপক ক্ষতি হবে।

নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে কাজ পিছিয়ে গেছে। প্রতিটি সেতু-কালভার্টের মূখে মাটির নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দেয়া আছে। যদিও সে রকম অবস্থা দেখা যায় তাহলে পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ