বগুরা সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শামীমকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা । র্যাবের অভিযোগ, গ্রেফতার নাজমুল হাসান শামীম একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী।
তিনি বহুদিন ধরে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে স্থানীয় সাধারণ জনগণকে ভীতি প্রদর্শন করত এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় শিশু অপহরণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাব -১২।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরতলির দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের পাশে জোড়গাছা জয়বাংলা হাটে অভিযান চালিয়ে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তার দেয়া তথ্য মতে গভীর রাতে জয়বাংলা হাটের পাশে জোড়াপুল সংলগ্ন একটি কলাবাগান থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
শামীমকে গ্রেফতার ও তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানীর কমান্ডার মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান।
র্যাবেব ডিএডি সৈয়দ আলী বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় অভিযুক্ত শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান শনিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী নাজমুল হাসান শামীম বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের উলিপুর নয়াপাড়ার নজরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে।
তিনি বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ জনগণকে ভীতি প্রদর্শন, পায়ে গুলি করে অঙ্গহানি, খুন,পেটে পিস্তল ধরা, ছুরিকাঘাতসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপনে খবর পেয়ে বগুড়া সদর উপজেলার দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের পাশে জোড়গাছা জয়বাংলা হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তার দেয়া তথ্যমতে রাত আড়াইটার দিকে জয়বাংলা হাট এলাকায় জোড়াপুল সংলগ্ন কলাবাগান থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব কমান্ডার আরও জানান, নাজমুল হাসান শামীম গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার জনমনে শান্তি ফিরে এসেছে এবং সর্ব সাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, নাজমুল হাসান শামীমকে থানায় সোপর্দ ও তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার শামীমের বড় ভাই বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও শাখারিয়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক কামরুল হুদা উজ্জ্বল জানান, আমার ছোট ভাই নাজমুল হাসান শামীম কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।
অস্ত্র উদ্ধার র্যাবের সাজানো নাটক মন্তব্য করে তিনি দাবি করেন, বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের স্থান প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও তাকে দূর্বল করতেই র্যাবের সঙ্গে যোগসাজস করে তার ভাইকে ধরিয়ে দিয়েছে।