পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ


ইউএনভি ডেস্ক:

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এই রায় প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও এই রায় প্রকাশ করা হবে।

পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

এ মামলায় বিচারিক আদালত (নিম্ন আদালত) ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট এর মধ‌্যে ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে মামলাটি নিষ্পত্তি করে। রায় প্রদানকারী ৩ বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এই রায় দেন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এছাড়া, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ৪ জনকে খালাস দেন আদালত। একজন মারা গেছেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতা তোরাব আলীসহ ১২ জনকে খালাস দেন আদালত। এর মধ‌্যে দুজন মারা গেছেন।

এছাড়া, বিচারিক আদালতে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২৫৬ আসামির মধ্যে ১২৮ জনকে ১০ বছর, ৮ জনের ৭ বছর, ৪ জনকে ৩ বছর এবং দুজনকে ১৩ বছর করে সাজা দেয়া হয়। ২৯ জন খালাস পান। ২৮ জন আপিল করেননি। মারা গেছেন ৩ জন। এদিকে নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের মধ‌্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। ৪ জনকে দেন ৭ বছর করে কারাদণ্ড।

২০১৫ সালে এ মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই বেঞ্চে ৩৭০ কার্যদিবস আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে কারা কর্তৃপক্ষের প্যারেড গ্রাউন্ড সংলগ্ন অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিডিআরের প্রাক্তন ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপি দলীয় প্রাক্তন সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়।


শর্টলিংকঃ