ইউএনভি ডেস্ক:
গত কয়েকদিন ধরেই সব ধরণের চালের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। অথচ এর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। যেহেতু সামর্থ্যবান ক্রেতারা বেশি পরিমাণ কিনছেন তাই চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগেই মূলত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোমবার রাজধানীর প্রধান আড়ত বাবুবাজারে অভিযান চালান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।অভিযান বিষয়ে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান, আসলে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও কিভাবে চালের দাম হঠাৎ বেড়ে গেল।
তিনি জানান, ৮ মার্চ থেকে দাম বাড়ানোর প্রবণতা শুরু হয়। তবে ১৯ মার্চ থেকে পরিকল্পিতভাবে কিছু আড়তদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বড় ৪টি রাইস মিল চাল সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে দেয়।
এ সুযোগে আড়তদাররা কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা এবং কয়েকটি মিল মালিকরা দেড় থেকে ২ টাকা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও মনের খুশিমতো ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা বেড়ে যায়।
সারোয়ার আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, কি বিচিত্র আমরা; সারাবিশ্ব যখন করোনার কারণে মৃত্যুভয়ে শঙ্কিত তখনও আমরা অতিরিক্ত মুনাফার ফন্দিতে ব্যস্ত।
সোমবার সকালে অতিরিক্ত মূল্যে চাল বিক্রয় করায় রাজধানীর বাবুবাজারে ১৭টি আড়তে অভিযান চালিয়ে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একটি আড়ত সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।