অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় কোল্ডষ্টোরের ব্যবস্থাপক অবরুদ্ধ


তানোর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে প্রতিবস্তার আলুর নির্ধারিত মূল্যর চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার ফলে এ এম কোল্ডষ্টোরে ব্যবস্থাপক জালাল উদ্দিনকে নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন স্থানীয় আলু চাষিরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কয়েকশত আলুচাষিরা তাকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কৃষকের হাত থেকে ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।


পুলিশ ও স্থানীয় আলুচাষিরা জানায়, চলতি বছরে উপজেলার প্রতিটি হিমাগার আলু সংরক্ষনের জন্য প্রতিবস্তার নির্ধারিত মূল্য ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেই আলোকেই চাষিরা উক্ত এ এম কোল্ডষ্টোরে হিমাগারে আলু সংরক্ষন করে।

আলু সংরক্ষরে পর সেই আলু বিক্রয় করতে গেলে এ এম কোল্ডষ্টোরে ব্যবস্থাপক (প্রতিবস্তা ৫৫ কেজি) উপরে আলু রাখলে প্রতিকেজি ২ টাকা করে অতিরিক্ত বেশী ভাড়া দিতে হবে।  এছাড়া আমি কোন আলুর ডিও করে বের করতে পারবো না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এবিষয়ে কথা কটাকাটির একপর্যায়ে ম্যানেজারকে অবরুদ্ধ করে চাষিরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ম্যানেজারকে উদ্ধার করে ও পরিবেশ শান্ত করে।
এ নিয়ে আবু বাক্কার ও আতাউর রহমান, আরব আলী, আব্দুল মতিন মাসুদ আলীসহ উপস্থিত কয়েকশত আলু চাষিরা জানান, আলু হিমাগারে সংরক্ষনের সময় আমাদের ২৫০ টাকা ভাড়া বাবদ ও ১০ টাকা শ্রমিক খরচ বাবদ নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

কিন্তু সেই নির্ধারণের মূল্য চেয়ে( প্রতিবস্তা ৫৫কেজি) উপরে যাদের বস্তাতে আলু আছে। প্রতি কেজি ২ টাকা করে বেশী কর্তন করা হয়। যা এরকম চাঁদাবাজি। এছাড়াও তারা আরো জানান, আালুর দাম না থাকার এবারো তাদেরকে লুকশান গুনতে হবে।

এ নিয়ে এ এম কোল্ডষ্টোরে ম্যানেজার জালাল উদ্দিনে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কতৃপক্ষের  নির্দেশে (৫৫ কেজির প্রতিবস্তা হিমাগার ভাড়া ২৬০ টাকা করে নিচ্ছি। এর বেশি আলু বস্তাতে যারা রেখেছে তাদের থেকে প্রতিকেজি ২ টাকা করে মালিকের নির্দেশে নিচ্ছি। এটা মালিকের সিদ্ধান্ত, আমি চাষিদের থেকে তা নিচ্ছি। আমি হুকুমের গোলাম বলে জানান তিনি।

এ নিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, আলু চাষি এবং হিমাগার কতৃপক্ষের মধ্যে ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব বধে। এক পর্যায়ে আলুচাষিরা হিমাগারের ব্যবস্থাপককে অবরুদ্ধ করে । আমি খবর পেয়ে সেখানে অফিসার পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আলু চাষি ও হিমাগার কতৃপক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।


শর্টলিংকঃ