ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জনগণের ভোটে এমপি হয়েছি


লালমনিরহাট: সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আমি জনগণের মানুষ। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জনগণের ভোটে এমপি হয়েছি। 

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার কর্মদক্ষতায় খুশি হয়ে করুণা করে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে পূর্ণ মন্ত্রী উপহার দিয়েছেন, যোগ করেন মন্ত্রী।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট সার্কিট হাউজ হলরুমে জেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, লালমনিরহাট একটি অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ জেলা। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থেকে কোনো উন্নয়ন করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যমান সব উন্নয়ন করেছেন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মহাজোটের পক্ষে মানুষ গণ রায় দিয়েছে। এজন্য জেলাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

মডেল জেলা গঠনে জেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের প্রতিটি মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে দেশের উন্নয়নে অংশ নিন। মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আমি সামাজিক মানুষ। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করবেন না। জেলাবাসীর প্রাণের দাবিগুলো জানা রয়েছে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে যা দরকার সব করা হবে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নিজ জেলায় এটিই নুরুজ্জামান আহমেদের প্রথম সফর। এর আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথে দুপুরে সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এরপর নিজ বাসভবন জেলার কালীগঞ্জে যান মন্ত্রী। সাতদিন জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। মন্ত্রীকে বরণ করতে জেলার প্রবেশদ্বার তিস্তা সড়ক সেতু থেকে মন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরন।


শর্টলিংকঃ