ঈশ্বরদীতে রেললাইন থেকে কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

ঈশ্বরদী-পাবনা রেললাইনের মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচরা এলাকায় রেললাইনের ওপর থেকে একজন কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কয়েকজন মহিষ রাখাল রেললাইনে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে ‍পুলিশ খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত মেহেদী হাসান সুমন পাবনা বেসরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ও বাঘহাসলা এলাকার আইনুল হক মাস্টারের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে কয়েকজন মহিষ রাখাল রেললাইনের ঢালে মহিষ চরানোর সময় লাইনের ওপর মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ জানায়, মরদেহের ডান হাতের কবজি কাটা ও ডান কানের নিচে ধারালো সরু অস্ত্রের আঘাতের গর্তের চিহ্ন দেখে গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এই হত্যার ঘটনাকে রেললাইনে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা মতে মরদেহটি রেললাইনের ওপর রাতের কোনো এক সময় হত্যাকারীরা রেখে যেতে পারে। তবে সোমবার এই রুটে কোনো ট্রেন চলাচল না করায় হত্যাকারীদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।

নিহতের পরিবারের সূত্রমতে, রোববার রাত থেকে সুমন নিখোঁজ ছিল। সকালে লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনের মরদেহ দেখতে পাই। তবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। নিহত সুমনের নিকট আত্মীয়রা বলেন, প্রেম ঘটিত কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা বলেন, হত্যার আসল কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তদন্ত হলেই হত্যার আসল কারণ জানা যাবে। তবে পারিবারিক ভাবে নিহত সুমনের পরিবারের সঙ্গে কারও পূর্বশক্রুতা থাকার খবর আমার জানা নেই।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুবির দত্ত বলেন, সীমানাটা ঈশ্বরদী থানার মধ্যে। তবে এটা রেলওয়ের থানার সীমানানুসারে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার নিয়ন্ত্রণে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানা থেকে পুলিশ আসলেই মরদেহটির পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হবে।


শর্টলিংকঃ