করোনাযুদ্ধে ব্যবহার হবে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্টেডিয়াম


ইউএনভি ডেস্ক: 
ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রায় ২৮ হাজার করোনায় আক্রান্ত সেখানে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বেশি।

করোনাযুদ্ধে ব্যবহার হবে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্টেডিয়াম

তাই সংক্রমণ এড়াতে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষদের আইসোলেশনে রাখতে বেছে নেয়া হয়েছেন মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপজয়ী ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।মহেন্দ্র সিং ধোনির ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বকাপের স্বাদ পাওয়া স্টেডিয়ামে এখন ঠাঁই নেবে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষেরা।

যারা সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।শুক্রবার মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কাছ থেকে এ বিষয় নির্দেশনামূলক চিঠি পেয়েছে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)।সেখানে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের দক্ষিণ অংশের প্রতিনিধিদের হাতে জরুরিভিত্তিতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের হল, হোটেল, ক্লাব, কলেজ, ডরমেটরি, জিম বুঝিয়ে দিতে। যাতে এসব স্থানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

এমসিএ এমন সিদ্ধান্তে রাজি না হলে পুলিশের হস্তক্ষেপে জোর করে হলেও এই আদেশ মানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় চিঠিতে।এদিকে করোনাযুদ্ধে অংশগ্রহণকে মহৎ উদ্যোগ মন্তব্য করে এমসিএর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে অংশ না নেয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

তারা যখনই চাইবেন আমরা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ছেড়ে দেব।তিনি জানান, আমরা সানন্দে মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চিঠি গ্রহণ করেছি এবং নির্দেশনা মোতাবেক কাজ শুরু করেছি।তবে চিঠির নির্দেশনা ভালোভাবে বোঝেননি বলে জানিয়েছেন এমসিএ সচিব সঞ্জয় নায়েক।

তিনি বলেন, আমরা সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। তবে মাঠের ভেতরে না মাঠের বাইরে- কোন অংশ ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি চিঠিতে।এ বিষয়ে জানা গেছে, আপাতত মাঠ নষ্ট করার ইচ্ছা নেই মুম্বাই কর্তৃপক্ষের।

আপাতত ওয়াংখেড়ে কমপ্লেক্সের গারওয়ার ক্লাব হাউজ ব্যবহার করা হবে। ক্লাব হাউজে ৫০টির বেশি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষ এখন থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।


শর্টলিংকঃ