কিউএস র‍্যাংকিংয়ে দেশের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়


ইউএনভি ডেস্ক:

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২১-এ স্থান পেল দেশের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়। এর তিনটি পাবলিক ও বাকি আটটি বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে র‍্যাংকিংয়ে জায়গা করে নেয়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই এশিয়া অঞ্চলের সেরা ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা নেই। গতকাল র‍্যাংকিং সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ র্যাংকিং প্রকাশিত হয়।

জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান পেয়েছে ১৩৪তম। আঞ্চলিক এ র‍্যাংকিংয়ে দেশের উচ্চশিক্ষালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান ১৯৯তম। আর জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ)র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান ২২৮তম।

দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান ২৭১-২৮০তম। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি)র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান ৩৫১-৪০০তম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। মহাদেশীয় র‍্যাংকিংটিতে ডিআইইউর অবস্থান ৪০১-৪৫০তম। একই অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও।

এছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) র‍্যাংকিংয়ে ৪৫১-৫০০তম, আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৫৫১-৬০০তম ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৫৫১-৬০০তম স্থান পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং বিষয়ে বিশ্বস্বীকৃত অন্যতম একটি কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং। কিউএস প্রতি বছর মোট ১১টি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে সারা পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক র‍্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। ১১টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে— প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার।


শর্টলিংকঃ