কোদালের হাতল দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে পেটালেন অধ্যক্ষ


নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

দুই কলেজ ছাত্রীকে কোদালের হাতল দিয়ে বেধরকভাবে পিটিয়ে আহত করলেন সুনামগঞ্জের এক অধ্যক্ষ। আহতরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈসুল হক কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের তাসলিমা খানম ও মাগুরা গ্রামের নাঈমা আক্তার।

আহত ওই দুই ছাত্রীকে শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত’র নাম মতিউর রহমান। তিনি সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ। এমন বর্বর ঘটনা জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ও নেটিজেনরা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ’র শাস্তির দাবিতে সরব হয়ে উঠেছেন।

রবিবার কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, মঈনুল হক কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের তাসলিমা খানম ও মাগুরা গ্রামের নাঈমা আক্তার নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন।

শনিবার দুপুরে ওই দুই ছাত্রী কলেজ ক্যাম্পাসে বাগান পরিচর্চায় থাকায় অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে তাদেরকে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সুযোগ দিতে অনুরোধ জানাতে গেলে অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা কোদালের হাতল (কাঠের তৈরী আছাড়) দ্বারা বেধরক ভাবে পিটিয়ে আহত করেন ওই দুই ছাত্রীকে।

এ ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে অধ্যক্ষের এই বর্বর আচরণে ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা পরে ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে জয়নগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে তার শাস্তির দাবি করেন।

রবিবার আহত ছাত্রী তাসলিমা খানম বলেন, আমি এতিম, অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছি, স্যারকে অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম আমি ও আমার এক সহপাঠিনীকে যেন চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দান করেন কিন্তু তিনি উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে শারিবীরক ভাবে আহত করলেন পাশাপাশী এ বর্বর ঘটনায় আমরা সামাজিক ভাবে কতটা হেয় হয়েছি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

রবিবার অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি মারধর করিনি, ছাত্রীদ্বয়কে অকৃতকার্য হওয়ায় তাদের চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনে অন্যায় আবদারে সম্মত না হওয়ায় তারা মহল বিশেষের ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে অহেতুক কুৎসা ও গুজব ছড়াচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান বলেন, আমি দুই ছাত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি । পরবর্তীতে অধ্যক্ষর সাথেও কথা বলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শুনেছি। এখন অভিযোগ পেলেই পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।

 


শর্টলিংকঃ