খুলনায় সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু


ইউএনভি ডেস্ক:

খুলনায় ব্রিজ নির্মাণের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল (২৮) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তিনি মারা যান। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনায় সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু

নিহত হাদীউজ্জামান রাসেল কয়রা উপজেলার বাইলা হারানিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার সানার ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলার বাইলা হারানিয়া গ্রামের আলিম মাদ্রাসার পাশে বাতিকাটা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের ঢালাই কাজ চলাকালে রবিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় হাফিজুর রহমান সানার তিন ছেলে তুহিন হোসেন, বাবু ও মিলন শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়।

এক পর্যায়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা এসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তুহিনের চাচাতো ভাই কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল কয়েকজন নেতাকর্মীসহ ঘটনাস্থলে আসলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত, রাজু, আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান ও সেলিমসহ উভয় পক্ষের ৭-৮জন আহত হয়।

আহতদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত উপজেলা রাসেলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পথে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাগালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, ব্রিজ নির্মাণের জায়গা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রাসেল গুরুতর আহত হয়। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাসেল মারা যায়।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুহিন ও মিলন সানা নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

আরো পড়তে পারেন:পাপিয়াকাণ্ডে সেই সাবেক নারী এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ


শর্টলিংকঃ