গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে ধান ক্রয় করলেন ইউএনও


গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

গ্রামে গ্রামে গিয়ে মাইকিং করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কিনলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিমুল আকতার । আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বিদিরপুর ও পিরিজপুর গ্রামে গিয়ে তিনি ধান কেনেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আকতার বলেন, কৃষকেরা সরকারি মূল্যে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। এমন খবরের ভিত্তিতে আমি ওউপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম যেকোনো উপায়ে ধান কেনাবেচায় কৃষকদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেই।

বিদিরপুর গ্রামে গিয়ে তিনজন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আড়াই মেট্রিকটন আরেক কৃষকের কাছ থেকে তিন মেট্রিকটন ধান কেনা হয়।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কৃষকদের স্বার্থ-রক্ষায় প্রশাসন সবসময় তৎপর থাকবে। তিনি ও তাঁর কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করবেন। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ প্রকৃত কৃষকের কাছে থেকে ধার ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যাংকে তাগিদ দেয়া হবে। এছাড়াও উপজেলার সব জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে যাতে সঠিকভাবে কৃষকেরা সরকারি গুদামে ধান, চাল,গম বিক্রয় করতে পারে।

সাইদুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, ইউএনও, উপজেলার চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে ধান কেনার কথা শুনে তিনি ১৫ মন ধান বিক্রি করেছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তিনি ধানের দাম পেয়েছেন। ধানের এমন মূল্য পেলে কৃষকরা উপকৃত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকারিয়া, মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আযম তৌহিদ, ইউপি সদস্য নয়ন,উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরব আলী,কৃষক মামুন,জামাল,সাদেক প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ