চীনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সাইবার হামলার অভিযোগ


ইউএনভি ডেস্ক:

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ বছরের শুরুর দিকে বড় ধরনের সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে চীনের বিরুদ্ধে।মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভারে এই হামলা হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ সার্ভারের এক-চতুর্থাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি জানায়, ইইউ প্রথম একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এই সাইবার হামলা হয়েছে ‘চীনা ভূখন্ড থেকে।’ অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বলেছে, চীনের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত হ্যাকাররা এই সাইবার হামলার জন্য দায়ী।

চীনের সঙ্গে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্তরাজ্য, ইইউ, নেটো ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগে সামিল হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা অন্য দেশগুলোর মধ্যে আছে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউ জিল্যান্ড ও কানাডা।

চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেও ব্যাপক ‍গুপ্তচরবৃত্তি এবং বেপরোয়া আচরণের অভিযোগ আছে। তবে চীন আগে থেকেই হ্যাকিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে এবং তারা সব ধরনের সাইবার অপরাধের বিরোধী বলে দাবি করেছে।

রয়টার্স জানায়, সোমবার মার্কিন পররাষট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, “সাইবার জগতে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল ধরনের আচরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ পিপলস রিপাবলিক অব চীনকেই দায়ী করছে। চীনের এই আচরণ আমাদের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।”

একইদিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোর সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোম্পানিগুলোকে নিশানা করে বিশ্বব্যাপী হ্যাকিং অভিযান চালানোর জন্য চার চীনা নাগরিক, তিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং ভাড়া করা একজন হ্যাকারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ওই হ্যাকিং তৎপরতা চালানো হয় ২০১১ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে। চীনের কোম্পানিগুলো এবং ব্যবসা লাভবান হয় এমনসব গুরুত্বপূর্ণ থত্য হাতিয়ে নেওয়াই ছিল সেই সাইবার হামলার লক্ষ্য।

পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (এমএসএস) বিরুদ্ধে ভাড়াটে হ্যাকার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন বলছে, এমএসএস সংশ্লিষ্ট এজেন্টরাই এ বছরের শুরুর দিকে মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের সাইবার হামলার জন্য দায়ী বলে তারা একরকম নিশ্চিত। এই হামলায় বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিকিন রাব বলেছেন, চীন সরকারকে এই ধরনের ধারাবাহিক সাইবার হামলার অবসান ঘটাতে হবে; তা না হলে তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে।


শর্টলিংকঃ