চোখের আকৃতি ধারণ করেছে সুপার ‘আম্ফান’


ইউএনভি ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন “আম্ফান” আই (চোখ) আকৃতি ধারণ করেছে। এই ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানবে- এটা অনেকটা নিশ্চিত। ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-১০ ফুটের বেশি হতে পারে। এছাড়া বাতাসের গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় হতে পারে ১৪০-১৬০ কিলোমিটার।

চোখের আকৃতি ধারণ করেছে সুপার ‘আম্ফান’

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আগামীকাল বুধবার ভোরে খুলনা হয়ে চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানবে আম্ফান। শক্তির দিক থেকে সিডর বা ভোলা সাইক্লোনের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে আঘাত হানার সময় শক্তি কমতে পারে।

এর আগে সকালে আবহাওয়া অফিস জানায়, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের শক্তি ২০০৭ সালে তাণ্ডব চালানো সিডরের মতো হতে পারে। এটি উপকূলে আঘাত হানলে হতে পারে ভয়াবহ ক্ষতি। তার সঙ্গে শরীরিক দূরত্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণও।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অতিসম্প্রতি দেশে আঘাত হানা ঘূণিঝড়গুলোর তুলনায় বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে আম্ফানকে।

শক্তি ও গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এ সাইক্লোনকে সিডরের মতো শক্তিশালী বলে মনে করছেন তারা। তবে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানলে ক্ষতি হবে বলেও ধারণা তাদের।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, এটা শক্তিশালী সিডরের মতো।

তবে দেখা যাচ্ছে সুন্দবনের ওপর দিয়ে গেলে বাতাসের গতিবেগ কমতে পারে।জলবায়ুবিদ ও বুয়েট শিক্ষক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের সাইক্লোন আমরা দেখেছিলাম ভোলা বা ১৯৯১ বা সিডরে। ৪ থেকে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।


শর্টলিংকঃ