দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়াম যবিপ্রবিতে


ইউএনভি ডেস্ক:

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) তৈরি করা হয়েছে বিশ্বমানের একটি জিমনেশিয়াম। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই জিমনেশিয়াম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর নামকরণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে। আগামী ১৪ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


জানা গেছে, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। ২২ হাজার ২৮০ বগফুটের আন্তর্জাতিক মানের এই জিমনেশিয়ামে ফুটবল, বাস্কেট, ভলিবল, টেবিলটেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে খেলায়াড়দের ফিটনেসের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি কন্ডিশনাল ল্যাব।

শুধু খেলায়াড়দের জন্য নয়, যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কন্ডিশনাল ল্যাবে গিয়ে ব্যায়ামসহ জিমনেশিয়ামের অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া জিমনেশিয়ামের প্রবেশমুখে তৈরি করা হচ্ছে শেখ রাসেলের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা সড়ক সংলগ্ন সুউঁচ্চ এই ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। ভবনের ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে কংক্রিটের বিমের উপর বিশেষ টিন দিয়ে। রয়েছে দশকের জন্য একটি গ্যালারি।

 

 

00:00

Previous
PlayNext

00:00 / 05:28
Mute

Fullscreen
Copy video url
Play / Pause
Mute / Unmute
Report a problem
Language
Share
Vidverto Player
ADVERTISEMENT

জিমনেশিয়ামটির প্রকল্প পরিচালক ও শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জাফিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। আমাদের এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের একটি আন্তর্জাতিকমানের কন্ডিশনাল ল্যাবও থাকবে। এখানে খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা ও তাদের ফিটনেস পর্যেক্ষণ করা যাবে। এমনকি জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে পারবো এখানে।’

‘এ ছাড়াও এই কন্ডিশনাল ল্যাবে আমরা সাধারণ মানুষসহ খেলোয়াড়দের কীভাবে শারীরিক সক্ষমতা ও পেশীর কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে গবেষণা করতে পারবো। খেলোয়াড়রা কীভাবে কম শক্তি ব্যয় করে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে পারে সেই ধরনের পরীক্ষা ও গবেষণা করা হবে এখানে’, বলেন তিনি।

সার্বিক বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই ধরনের একটি আন্তর্জাতিকমানের জিমনেশিয়াম যবিপ্রবির প্রাঙ্গণে হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, যবিপ্রবির এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিকমানের ইনডোর খেলা- যেমন বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদিতে একটি ভেন্যু হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে। এ ছাড়াও আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমাদের টিএসসি সম্পন্ন হবে। সেখানকার ডরমিটরিতে চাইলে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে’, বলেন তিনি।

‘এ ছাড়াও জিমনেশিয়ামটি আমাদের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ও জাতীয় ইনডোর গেমগুলোতে অনেক বড় অবদান রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে এই ধরনের অবদান রাখতে পারা অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়’, বলেন তিনি।


শর্টলিংকঃ