লকডাউনে রাজশাহীতে বসেনি ইফতারির পসরা


নিজস্ব প্রতিবেদক: 

রাজশাহী নগরীতে ইফতার পশরা নিয়ে বসেনি দোকানীরা। পাশা-পাশি রেস্টুরেন্ট পাড়ায়ও নেই ইফতার আয়োজনের ধুম। তবে ইফতারের স্বল্পতম প্রয়োজন মেটাতে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ফলের দোকানগুলোতে।

নগরের রেলগেট,রাণী বাজার,গণকপাড়া, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর ঘুরে ইফতারের দোকান দেখা না গেলেও খোলা রয়েছে ফলের দোকান। ফলের পাশা-পাশি সেই সব দোকানে রয়েছে মুড়ি,খেঁজুর,লেবু এবং শসা।

এসব দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে, আপেল-১৮০ টাকা,মাল্টা- ১৮০ থেকে ২০০টাকা, প্যাকটের খেঁজুর-১২০টাকা, আনারস কেজি প্রতি -৬০ টাকা,কলা-২৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৩০ টাকা এবং শসা-৪০ টাকা। তবে রমজানকে ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া বলে দাবি ক্রেতাদের ।

এদিকে,নগরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বসেছে ভ্রাম্যমান ফলের দোকান। কথা হলো ভ্রাম্যমান ফল বিক্রেতা টুটুলের (৩৫) এর সাথে। তিনি জানান, আমি গত তিন বছর ধরে ফলের ব্যবসা করছি। বর্তমান পরিস্থিতে আর কত দিন ঘরে বসে থাকা যায়। পেট তো চলতে হবে। আর মহাজানের টাকা পরিশোধ করতে ফলের দোকান নিয়ে বের হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ফলের পাশা-পাশি ইফতারের প্রয়োজন মেটাতে মুড়ি,খেঁজুর,লেবু বিক্রি করছি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এ বছর ইফতারের পশরা বিক্রি করছিনা।

আমাদের ব্যবসাতে ধস। খদ্দের না আসলে আমাদের জিনিসপত্র কিনবে কে? এভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে এই ফল ব্যবসায়ী। একই কথা বলেন সজি(২৫) নামের আরেক ফল বিক্রেতা।

লকডাউনে থাকা অবস্থায় তবে এ বছর ইফতারের কোন আয়োজন বা বেচা-বিক্রি নেই দোকান এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে। রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশ (আরএমপি) জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর বাড়িতে ইফতার করতে হবে। করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী ইফতার পশরার দোকানগুলোতে পাওয়া যেত জিলাপি, ছোলা, বেগুনি, পিয়াজু, রসুন চপ, আলু চপ, ডিম চপ, কিমা চম, কাঁচা ছোলা, ভাজা বাদাম, বুনদিয়া, ভাজা চিঁড়া। এছাড়া ইফতারে ফল জাতীয় খাবারের মধ্যে খেজুর, আপেল, শসা, কলা, গাজর। পানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে- ঘোল, মাঠা, আখের রস। কোথায় কোথাও পাওয়া যায় লেবুর শরবতও।


শর্টলিংকঃ