নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রধান শিক্ষক পেটালেন সভাপতি


ইউএনভি ডেস্ক:

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোমিন আলীর বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর থানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান।

তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। সভাপতি মোমিন আলী চন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বলে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চন্দ্রপুর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সভাপতির কিছুদিন ধরে সম্পর্কের অবনতি চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই সভাপতি মোবাইল ফোনে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সভাপতি। পরে সভাপতি ফোন কেটে দিয়ে স্কুলে যায়। সেখানে অন্যান্য শিক্ষকের সামনে থেকে হাফিজুর রহমানকে ডেকে নিয়ে বারান্দায় চর-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় তার চিৎকারে সহকারী শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে স্কুল কক্ষে নিয়ে যায়।

সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোমিন আলী স্কুলে গিয়ে নোংরা ভাষায় গালমন্দ করে বারান্দায় ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে শারীরিক নির্যাতন করেন।

প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিনা অপরাধে সভাপতি অন্যান্য শিক্ষকের সামনে আমাকে মারপিট করেন।মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি মোমিন আলী অস্বীকার করেন।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ