নাটোরে হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী হাত-পা কেটে হত্যা করলো আসামী পক্ষ


নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:

নাটোরের গুরুদাসপুরের স্বামী পরিত্যাক্ত নারী সফুরা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জালাল উদ্দিন আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে কুপিয়ে হাত-পা কেটে হত্যা করেছে আসামীরা।

এ সময় পায়ের রগ ও বাম হাতটিও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত অবস্থায় জালালকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, স্থানীয়রা ও আহতের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত একটি নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়। সেই হত্যা মামলায় আজ আদালতে স্বাক্ষীর হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল। সকালে জালাল উদ্দিন স্বাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে পথে যোগেন্দ্র নগর বাজারের কাছে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয় এবং বাম হাত সহ পা কেটে জখম করে।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গুুেদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জালালের অবস্থার অবণতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


শর্টলিংকঃ