ভিপি নুরের অভিযোগে যা বললেন ঢামেক পরিচালক


ইউএনভি ডেস্ক:

নুরের কথাবার্তা দুঃখজনক এবং অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।নয় দিন পর ঢামেক থেকে ছাড়া পেয়ে গণমাধ্যমে ভিপি নুরে বক্তব্যের পর এ মন্তব্য করেছেন ঢামেক পরিচালক।

DMCH

গতকাল মঙ্গলবার নয় দিন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পান ডাকসু ভিপি নুর। ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে ঢামেকে ভর্তি হন তিনি।কিন্তু পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিপি নূর।গ্রেফতারের জন্যই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়াও তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বাঁচাতে চেয়েছে না মারতে চেয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান। কারণ তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি হচ্ছে।’মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

নুরের এমন সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলছেন, নুরের এধরনের কথাবার্তা দুঃখজনক এবং অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক। নুরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। শারীরিক সুস্থতা আছে দেখেই তাকে ছাড়া হয়েছে।

এরপরেও নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ নয় দাবি করে ঢাকা মেডিকেল ছাড়েন ডাকসু ভিপি। নতুন করে মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নুর বলেছেন, আমি এখনও সুস্থ নই। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিন পর থেকে আমি বেশি অসুস্থ বোধ করছি।

নুর বলেন, ‘আমি এখনও ঝাপসা দেখি। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে নুর জানান, প্রথম তিন দিনের পর শরীর আরও খারাপ হয় আমার। মেরে ফেলার যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে। এসব সরকারের ইশারাতেই হয়েছে বলে মনে করি।

ছাত্রলীগকে আড়াল করতে পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি বলে জানান নুর।গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের মূল গেট বন্ধ করে হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ভিপির কক্ষের লাইট বন্ধ করে বাঁশ ও রড দিয়ে নুর ও তার সহযোগীদের বেধড়ক পেটায়।ডাকসু ভবনের ছাদ থেকেও একজনকে ফেলে দেয়া হয়। ওইদিনের হামলায় ভিপি নুরসহ অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


শর্টলিংকঃ