পঞ্চদশ শতকের রাজকুমারীর ভূমিকায় জ্যাকুলিন


ইউএনভি ডেস্ক:

সিনেমা নিয়ে খুব একটা আলোচনায় নেই জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তবে হোলিতেই মুক্তি পেল মিউজিক ভিডিও ‘মেরে অঙ্গনে মে’। সেখানে দেখা মিলেছে বলিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীকে। পুরনো গানটিকে টি-সিরিজ এনেছে একটি নতুন গল্পের মোড়কে যেখানে এক পঞ্চদশ শতকের রাজকুমারীর ভূমিকায় দেখা দিয়েছেন জ্যাকুলিন।

পঞ্চদশ শতকের রাজকুমারীর ভূমিকায় জ্যাকুলিন

জ্যাকুলিন এখানে সেই ফুলের নির্যাস দেওয়া জলে স্নান করে ওঠা, বেদানার রঙে ঠোঁট রাঙানো মধ্যযুগের এক নারী, যার এক হাতে তরবারি। এ যুগের যুবককে তার প্রেমিকা টাইম মেশিনে করে পাঠিয়ে দেয় রাজকুমারীর খাস কামরায়। তারপর সে স্মার্টফোনে ভিডিও করে আর হাইহিল পরিয়ে মাথা কাটা যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচায়। কিন্তু গল্পটা সেখানেই শেষ নয়, আর শুরুও নয়। হোলি পার্টি থেকে সেই যুবককে কেন তার প্রেমিকা কেন পাঠিয়ে দেয় সেই যুগে, সেটাও একটা বেশ মজার গল্প।

ইউটিউবের ট্রেন্ডিং তালিকায় এই গানটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে। অর্থাৎ জনপ্রিয়তার নিরিখে বেশ হিট বলা যায় টি সিরিজের এই রিমেকটিকে। বেশ ঝকঝকে করেই বানানো। সেকাল-একাল দুই কালের স্বাদও আছে। বিগ বস ১৩ রানারআপ আসিম রিয়াজকে দেখা গিয়েছে জ্যাকুলিনের সঙ্গে।

আরোও পোড়ুন:না ফেরার দেশে অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়

এদিকে ব্যস্ততা কম থাকলেও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের সময়টা যে বেশ ভালোই যাচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বলিউডের প্রথমসারির অভিনেতাদের সঙ্গে একের পর এক ছবি হিট ছবি। ভারতীয় ফ্যানদের মনে পাকা জায়গা তৈরি করে এখন বেশ জনপ্রিয় নায়িকা।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাকুলিন বলেন, ‘আমি ভারতীয় না, তাই আমি জানতাম আমি কোনোদিনই সোনাক্ষী সিনহার মতো হিন্দি বলতে পারবো না। এমনকি আমার সহ-অভিনেতারাও আমার হিন্দি বলার ধরন নকল করতো। আমার খুব রাগ হতো। এ রকম নয় যে, আমি চেষ্টা করতাম না। আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা হিন্দি শেখার ক্লাসে যেতাম। কিন্তু আমাকে নিয়ে অনেকেই হাসা-হাসি করতো। তবে এখন আর কিছু মনে হয় না, সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’


শর্টলিংকঃ