পর্যটক আসতে শুরু করছে পুঠিয়া রাজপরগণায়


আবু হাসাদ, পুঠিয়া :

সারা দেশে করোনার প্রভাবের কারণে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঐতিহ্যবাহী রাজপরগণা এলাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটক আসতে শুরু করছেন। জনসমাগম এড়াতে গত ১৯ মার্চ পরগণা এলাকায় পর্যটক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।


জানা গেছে, পুঠিয়া রাজপরগণা ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী এলাকা। প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্তিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাজপরগণায় শত শত বছরের ইতিহাস আজও স্বাক্ষ্মী হয়ে আছে। রাজবাড়িতে ছোট-বড় ১৫টি মন্দির যা সুনিপুন কারুকাজ সম্মলিত টেরাকোঠায় তৈরি করা হয়েছে। যা এখানে আগত পর্যটকদের নজর কাড়ে। বিগত দিনে সার্বক্ষনিক দেশ-বিদেশ থেকে রাজপরগণা এলাকায় বেড়াতে আসতেন শত শত পর্যটকরা। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এখানে দীর্ঘ প্রায় পাঁচমাস বহিরাগত পর্যটক আসা বন্ধ ছিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলেও চলতি মাসের শুরু থেকে সল্প পরিসরে পর্যটক আসছেন রাজপরগণায়।

পাবনা জেলা থেকে স্ব-পরিবারে আগত রিয়াজুল ইসলাম নামে একজন পর্যটক বলেন, আমি ছোট খাটো একটা চাকুরি করি। প্রায় প্রতিবছর আমার পরিবার নিয়ে আশে পাশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্তিক সৌন্দর্য দেখতে যাই। তবে এবার করোনার কারণে কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি। তাই পুঠিয়া সদর এলাকায় এক আত্নীয়র সুবাদে রাজবাড়ি এলাকা সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

লাকনাট্যকার ও গবেষক কাজী সাঈদ হোসেন দুলাল বলেন, বারো ভূঁইয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যর রাজধানী পুঠিয়া রাজপরগনা। আগামী প্রজন্মকে রাজপরগণার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মৃতি দেখতে হলে এখানে সবাইকে অবশ্যই আসা প্রয়োজন। আর চারআনি রাজপরগণাসহ বেশীর ভাগ এলাকা অযত্নে অবহেলায় ধ্বংসের শেষ প্রান্তে দাড়িয়েছে আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পুরো এলাকা সঠিক রক্ষনা-বেক্ষন করবেন বলে আমি মনে করি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজপরগণায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

 


শর্টলিংকঃ