পাবনা-৪ : ২৫ বছরের জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায় আ’লীগ


কলিট তালুকদার,পাবনা:

২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনা-৪ আসন (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এর উপ-নির্বাচন। ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা জুরে সরগরম নির্বাচনী আলোচনায়। ভোটের আগেই নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়েছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এই সংঘাত হলেও নির্বাচনে তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি দুই দলের প্রার্থীদের।

টানা ২৫ বছর ধরে আসনটি ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আর বিরোধ ভুলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হাতছাড়া আসনটি পুনরুদ্ধারের আশা বিএনপি প্রার্থীর। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি আওয়ামীলীগ প্রার্থীর। আর পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।

ঈশ^রদী জংশন, ইপিজেডের পাশাপাশি নির্মানাধীন দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণসহ ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পাবনা-৪ আসন। ঈশ^রদী ও আটঘরিয়া উপজেলার দুই পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন।

ভোট কেন্দ্র ১২৯টি। পাবনা-৪ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু গত ২ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটি থেকে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ১৮ জন লড়াই করে। অবশেষে ঈশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলটি মনোনয়ন দেন।

আর বিএনপি থেকে দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পাটি থেকে জেলা কমিটির কার্যকারী সদস্য রেজাউল করিম খোকনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে মাঠে রয়েছেন তিনজন প্রার্থী।

এই আসন থেকে পারপর পাঁচবার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা সাবেক ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমার শরিফ ডিলু। মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ মুহুত পর্যন্ত ভূমিমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাস, ভূমি দখল, টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। স্থানীয় ভাবে ইমেজ হাড়াতে বসে দলটি। তবে আসন্ন উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের দাবী কোন ব্যাক্তি বা পরিবারের দূর্নীতির দায়ভার দল নেবে না। ভোটাররা উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।

১৯৯১ সালে আসনটিতে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার নির্বাচিত হন। ১৯৯৬, ২০০১ সালে সিরাজ সরদার বিএনপির মনোনয়ন পেলে, বিদ্রোহী প্রার্থী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। অন্তঃকোন্দলে বারবার এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে গেছে দাবী করে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে এই পরিস্থিতির উত্তরণ চান বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা। নেতা কর্মীদের আশা এবার তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধকরণে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে ভোটেরর উপস্থিতি সন্তোষ যোগ্য হবে।


শর্টলিংকঃ