বঙ্গবন্ধু দেশকে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন: রাবি উপাচার্য


রাবি প্রতিনিধি:
‘বঙ্গবন্ধু দেশকে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের কিছু কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তবে দেশে এখনো সম্প্রীতি আছে। এটা না থাকলে দেশে ধর্ম রাজনীতি, জঙ্গিবাদ, দূর্নীতি বিরাজমান থাকবে। তাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা ও মতবিনিময় সভা ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় উপাচার্য আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন অসাম্প্রদায়িক মানব ছিলেন। যার ফলেই তাঁর ডাকে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সকল পর্যায়ের জণগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন। বঙ্গবন্ধু জাতির জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তাই তাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়।’

আইন বিভাগের মাস্টাসে শিক্ষার্র্থী মেহজাবিন কথার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসময় পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা লালন করে তাদের নিয়েই আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এছাড়াও যারা মাটির কাছাকাছি রয়েছে তাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করলে এ দেশে সম্প্রীতি ফিরে আসবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সবার ধর্মানুযায়ী চলবে কিন্তু দেশ গড়তে ও দেশে সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের জঙ্গিবাদ, দূর্নীতি, খুন, রাহাজানি ও ধর্ষণ রোধে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।’

এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সংস্কৃতি ও তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া।


শর্টলিংকঃ