বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের নতুন নীলনকশা


বিশেষ প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একেবারে সন্নিকটে, তখন নতুন প্রচারণার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে একটি মহল। আসন্ন এই নির্বাচন নিকট অতীতের যেকোন নির্বাচনের চাইতে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কাজ করা গ্রুপটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের বাইরে থেকে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর কৌশল অবলম্বন করেছে।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশির পাশাপাশি কিছু ভারতীয়ও রয়েছে। এই ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নিজ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই সিন্ডিকেটের ভারতীয় বাহিনী প্রধানত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করে এখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।

সূত্র জানায়, সিন্ডিকেটের ভারতীয় হাত একসময় উত্তর-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে খবর ও তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করেছিল। সে কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে উলফার একটি অংশের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হলেও এর বাইরে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নতুন কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও অপপ্রচারে ভারতীয়রা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, এই পুরো প্রক্রিয়ার পেছনে একটি পশ্চিমা দেশ তাদের অর্থ ও সামর্থ্য ব্যয় করছে। বাংলাদেশের ভেতরেও তারা নিজেদের কিছু লোক বসিয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই নেতা ও তার পরিবারের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব রয়েছে।

সূত্র জানায়, নীলনকশার অংশ হিসেবে সিন্ডিকেট জামায়াতের ওই ব্যবসায়ী গ্রুপের হোতাদের ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের পদ দেওয়ায় জন্য ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আর ঠিক এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের শরিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। একই সঙ্গে তাদের নিয়ে অপপ্রচার চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। এরই অংশ হিসেবে তারা নির্বাচন কমিশনসহ দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর কৌশল গ্রহণ করেছে।

দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, এই নীলনকশা ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। তবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হলে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

 

আরও পড়তে পারেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে বিএনপির অবস্থান নিয়ে হার্পারকলিন্সের নতুন বইয়ে তথ্য


শর্টলিংকঃ