ভূমি ও গৃহহীদের ঠাঁই হচ্ছে স্বপ্নের ‘পাঁকা ঘরে’


আবু হাসাদ,পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত জমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি হচ্ছে নান্দনিক পাঁকা ঘর। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ৫৪ টি ঘর তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। আগামী ২০ জানুয়ারী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্মিত ঘর গুলো উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে ওই অসহায় পরিবারের লোকজনদের মাঝে তাদের স্বপ্নের পাঁকা ঘর গুলো হস্তাস্তর করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের অধিনে চারটি ইউনিয়ন এলাকায় ৯২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যায়ে ৫৪ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নান্দনিক ভাবে নির্মিত হচ্ছে পাঁকা ঘর। এতে প্রতিটি পাঁকা ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘর গুলোর বেশীর ভাগ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া গত অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে এমন ৩০৫টি পরিবারকে টিনসেট ঘর তৈরি করে দেয়া হয়।

ওই প্রকল্পে ব্যায় হয়েছিল ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে ওই ঘর গুলোতে বসবাস করছেন জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবার গুলো।
সরেজমিনে উপজেলার বারইপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত প্রায় সাড়ে তিন একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ১৪টি পাঁকা ঘর। বর্তমানে ওই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ঘরের চলছে রং ও ধোয়া-মুছার কাজ।

প্রতিটি পবিরারের জন্য দুটি রুম বিশিষ্ট পাঁকা ঘরের মধ্যে আরো রয়েছে একটি বার্থরুম ও রান্নার স্থান। সেই সাথে ওই পরিবার গুলোর আধুৃনিক সুবিধার জন্য থাকছে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহের পাশাপাশি ওই এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে আলোকবার্তি। আর তাদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, ‘সবার জন্য বাসস্থান মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অঙ্গীকার’ সে লক্ষ বাস্তবায়ন করতে সারা দেশেই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নান্দনিক পাঁকা ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই উপজেলাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত জমিতে ৫৪টি পরিবারের জন্য পাঁকা ঘর নির্মিত হচ্ছে। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে ওই তৈরিকৃত ঘর গুলো গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ন তৈরি করে দেয়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একটি কর্মসূচী। ঘর গুলো তৈরিতে অনেক উন্নতমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।

ওই ঘরে বসবাসকারীরা ভূমি ও আশ্রয়হীন হলেও সরকারের নির্দেশনায় তাদের সকলকে আধুনিক মানের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ বাস্তবায়ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে। আর ঘর তৈরির কাজ যথা সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে। এখন আমরা শুধু মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি।


শর্টলিংকঃ