মাটি থেকে প্রায় ২৩ ফুট গভীরে পুরো গ্রাম!


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

মাটি থেকে প্রায় ২৩ ফুট গভীরে পুরো গ্রাম! এখানের প্রতিটি বাড়ির স্থাপত্য পরিকল্পনা এক কথায় অসাধারণ। ঘরগুলোতে তাপমাত্রা শীতকালে প্রায় ১০ ডিগ্রি। আর গ্রীষ্মে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।

চীনের হেনান প্রদেশের সানমেনশিয়ায় রয়েছে এ অদ্ভুত গ্রাম। প্রায় ২০০ বছর ধরে এখানে মাটির নিচেই বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন কয়েক হাজার মানুষ।

সানমেনশিয়া এলাকায় এমন অন্তত ১০ হাজার ঘরের সন্ধান মিলেছে। এগুলোর বেশিরভাগই বর্তমানে পরিত্যক্ত। মাটির নিচে তৈরি এ ঘরগুলোকে চীনা ভাষায় বলা হয় ‘ইয়ায়োডং’, যার অর্থ গুহা ঘর। একটা সময় এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে এবং প্রতিকূল জীবনযাত্রার চাপে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যান। বর্তমানে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। মাটি থেকে প্রায় ২৩ ফুট গভীরে তৈরি এ ঘরগুলো লম্বায় ৩৩ থেকে ৩৯ ফুট পর্যন্ত।

ঐতিহাসিকদের মতে, হেনান প্রদেশের সানমেনশিয়ায় ইয়ায়োডংয়ে বসবাসের ইতিহাস ২শ’ বছরের বেশি প্রাচীন নয়। তবে চীনের পার্বত্য এলাকায় আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে ব্রোঞ্জ যুগে এ ধরনের গুহা ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন একদল মানুষ।

২০১১ সাল থেকে এ গ্রামটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমানে এ গুহা ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, গুহা ঘরগুলো ভূমিকম্প সহনীয়।

আশ্চর্য এই ঘরগুলোর আকর্ষণে এই এলাকায় বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়েছে। পর্যটক টানতে এখন ‘ইয়ায়োডং’ ভাড়া দেয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এক মাসের জন্য ভাড়ায় চাইলে গুনতে হবে ২১ ইউরো। পছন্দ হয়ে গেলে কিনেও নিতে পারেন একটি গুহা ঘর। দাম পড়বে ৩২ হাজার ইউরো। রয়টার্স


শর্টলিংকঃ