ইউএনভি ডেস্কঃ
মুখে মাস্ক না পরায় মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা হামজা খানকে আটক করে পুলিশ। ওই এলাকায় চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছিল। আটকের পর তাঁর কাছে দেশি মদ পাওয়া যায়।
পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হামজা খান জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। এর আগে এর আগে গত ৩ জুলাই মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় ফেসবুকে ‘মিথ্যা ও ভুয়া’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তিনি জামিনে বের হন।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। সন্ধ্যায় বেউথা এলাকায় মাস্ক ব্যবহার না করার অভিযোগে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা হামজাকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশি মদের বোতল পাওয়া যায়। এরপর সেখানে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম আটক হামজাকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর আগে গত ৩ জুলাই মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হামজার বিরুদ্ধে ঘিওর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, রাতেই হামজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।