মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবি


ইউএনভি ডেস্ক:

চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সমমনা ইসলামি দলের নেতারা। শুক্রবার (১২ মার্চ) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

উইঘুর মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করলে, চীনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান বক্তরা।

বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যানমুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চীন যদি উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে, সারাবিশ্বের মুসলমানরা চুপচাপ বসে থাকবে না।

‘প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে হবে। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। সরকারকে বলব, চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সতর্ক করা হোক। যাতে করে আর যেন চীনের মুসলমানেরা নির্যাতিত না হয়। যদি মুসলমান নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, বাংলাদেশে কোনো চীনা নাগরিককে বরদাস্ত করা হবে না’।

তিনি বলেন, এই চীনই মিয়ানমারের মুসলমানদের বাংলাদেশে পুশিংয়ে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ সরকার আরাকান ‘রোহিঙ্গা) মুসলমানদের জায়গা দিয়েছে। জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফেরত নেয়া হোক। তাদের ভিটে-মাটি ফেরত দিতে হবে, পুনর্বাসন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, চীনের মনে রাখা উচিত বিশ্বে অনেক শক্তিশালী দেশ ছিল, ধ্বংস হয়ে গেছে। উইঘুর নির্যাতনের জন্য চীনও বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।

খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব আলহাজ আজম খান বলেন, চীন সরকার উইঘুর মুসলমানদের উপর দীর্ঘদিন ধরে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশকে অত্যাচারী চীন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুফতী জাকির হুসাইন। বক্তব্য দেন বাংলাদশে জনসেবা আন্দোলনের মহাসচিব মুফতী ইয়ামিন হুসাইন আজমী, মুফতী আব্দুল্লাহ, মুফতী আব্দুল আলিম, মুফতী আবু দারদা, মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ