‘যদি আমি দায়ী হয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা চাই’


নিজশ্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবিএম খোরশেদ আলম। রোববার বেলা ১১টার দিকে এই হাসপাতাল পরিদর্শন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিজি এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না—এই অভিযোগ শুনলাম। এ জন্য যদি আমি দায়ী হয়ে থাকি; তাহলে আপনাদের কাছে আমি দুঃখিত ও ক্ষমা চাই।’

অভিযোগ আছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর স্বজনকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় সাংবাদিকেরা ওই স্বজনের ছবি তুলতে গেলে ইন্টার্নরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন। এর পর থেকে বারবার নোটিশ ঝুলিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।

খোরশেদ আলম বলেন, ‘গণমাধ্যমকে দূরে রেখে কোনো কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। আজকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক শক্তিশালী। সাংবাদিকেরা সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিগুলো তুলে না ধরলে জনগণ জানবে না। সরকার যত কথাই বলুক না কেন, সেটা জনগণ বিশ্বাস করবে না।’ তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের উদ্দেশে বলেন, ‘অনুরোধ করব, আপনি গণমাধ্যমের সঙ্গে থাকুন। তাদের কাজ করতে সহযোগিতা করুন। আপনাকে অনুরোধ করে গেলাম, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।’

টিকা এলে বাংলাদেশ যাতে সঙ্গে সঙ্গে পেতে পারে, সে জন্য হোমওয়ার্ক চলছে। এই টিকা আসার পর এটা কাদেরকে দেওয়া হবে, কীভাবে দেওয়া হবে; এ নিয়ে কাজ চলছে।

কিছুদিন আগে দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা রোগীর ব্যবস্থাপনা ঢাকার অনেক হাসপাতালের চেয়ে যথেষ্ট ভালো। এখানে রোগীদের মৃত্যুহারও অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় কম। সংক্রমণের হারও কম। অন্যান্য রোগের (নন-কোভিড) চিকিৎসা ও অপারেশন আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেশ ভালো রয়েছে। এটা রাজশাহীর জন্য গৌরবের ব্যাপার। এই খবর মানুষের কাছে নতুন আশার সঞ্চার ঘটাবে।

করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে ডিজি এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, করোনার টিকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেবেন। টিকা এলে বাংলাদেশ যাতে সঙ্গে সঙ্গে পেতে পারে, সে জন্য হোমওয়ার্ক চলছে। এই টিকা আসার পর এটা কাদেরকে দেওয়া হবে, কীভাবে দেওয়া হবে; এ রকম একটা রূপরেখা প্রণয়ন করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই কাজ শুরুও করেছেন তাঁরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়া, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) গোপেন্দ্র নাথ আচার্য, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ