রংপুরের মাটি যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা : বিদিশা


বিশেষ প্রতিবেদক :

সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিদিশা ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেন, আপাতত বাবার বাড়ি রাজশাহীতে ফিরছি না। তাঁর ইচ্ছে- রংপুরের মাটি যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। 

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর আবারো আলোচনায় তাঁর সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে নিজের ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন সময়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বলেছেন নানা কথা।  এবার তার সন্তান এরিককে উদ্ধারে যুদ্ধ শুরু করবেন-এমনটাও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার ফেসবুক পেইজে ‘তাই যেনো হয়’ শিরোনামের লেখায় তিনি বলেন, ‘আমি ও তাই চাই লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের মতো রংপুরের মাটি যেনো হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। সহধর্মীনী থাকতে বহুবার পল্লী নিবাসে বারান্দায় ছেলে এরিক কে কোলে বসিয়ে উনি আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমার ছোট, দেখ আমার মৃত্যু ও যেন আমার ছেলের কাছে থেকে দুরে না রাখে।

আমার কবর আমি এই পল্লী নিবাসে চাই। রংপুরের মানুষের ভালোবাসা প্রতিদান আমি দিতে পারিনি আজ ও। রংপুরের মানুষ আমার কবরে এসে দোয়া করবে এটাই আমার চাওয়া। প্রতিবার এই কথাটি বলতেন তিনি এরিকের দিকে তাকিয়ে, ভিজে চোখে।

আজ সদ্য বাবা হারা ছেলে আমার মায়ের আশ্রয়ে ও নেই। এরিকের চোখের পানি তে পাথর ও গলে যায় কিন্তু গলে না রাজনীতিবিদদের মন।
আমার ছেলে এরিক কে আটকিয়ে রাজনীতি কোন ফায়দা লুটবেন এনারা? ’।

এক প্রতিক্রিয়ায় বিদিশা লিখেছেন, ‘বাবার মৃত্যুতে আমার ছেলে এরিক এর কান্নায় দেশবাসীও কেঁদেছে। আমি পাগলের মতো ছুটে চলে এসেছি দেশে। কিন্ত দেশে এসে ও বাধার শিকার আমি। কোথায় স্বামী লাশ কোথায় ছেলে? আমার সাথে এরিককে কথা ও বলতে দিচ্ছে না। দেখা করাতো দুরের কথা। এমনিতেই আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। এই সময় যেখানে মাকে বেশি প্রয়োজন তখন আমার ছেলেকে নিয়ে ও রাজনীতি। শেষ পর্যন্ত মা হিসেবে ছেলের জন্য যদি জীবন দিতে হয় আমি তাই করবো।’

গত ১৪ জুলাই  এরশাদের মৃত্যুর পর তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা ছোট করে আবেগঘন কয়েকটি বাক্য লেখেন- ‘এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমীর শরীফ আসলাম আর তুমি ও চলে গেলে। এতো কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে যেখানে থাকবে না কোনো রাজনীত ’।

 


শর্টলিংকঃ