রাণীনগরে নির্মাণ শেষ না হতেই কালভার্টে ফাটল


রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ):

নওগাঁর রাণীনগরে নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টের উইং ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কালভার্টের দুই পার্শ্বের উইং ওয়ালে ফাটল ও হেলে পড়েছে। নির্মাণ কাজে অনিয়মের কারণে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা গেছে, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাণীনগর অংশে নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় দুইটি কালভার্ট ও একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। দুইটি কালভার্ট এর মধ্যে একটির কাজ গত প্রায় ১০/১৫ দিন আগে সম্পূর্ণ হয়েছে। আর সেতু নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

রাণীনগর সদরের রেলগেট নামক স্থান থেকে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুপুর গ্রাম সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে নব-নির্মিত কালভার্টের দুই দিকের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। মাটি দেয়ার পরেই মাটির সামান্য চাপে দুই ধারের উইং ওয়ালে ফাটল ধরেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কালভার্টের উপর যান চলাচল শুরুই হলো না অথচ ইউং ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওয়ালের ঢালাই আর কালভার্টের ঢালাই একই রকম ছিল? না কি ভিন্ন? যদি একই ঢালাই হয়ে থাকে তাহলে এই মহা সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসি।

কালভার্ট নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ, কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন এবং সিডিউল মোতাবেক বিভিন্ন তথ্য নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল মুনছুর আহমেদ এর কাছে চাইলে তার অফিসে গিয়ে শুধুমাত্র তার কাছ থেকেই নিতে হবে বলে জানান। কবে কখন গেলে তাকে ও তথ্য পাওয়া যাবে তার কোন সদউত্তর দেননি এই কর্মকর্তা।

এব্যাপারে স্থানীয় তাইজুল ইসলাম ও রোস্তম আলী মন্ডল জানান, এলাকার ইঞ্জিনিয়ারদের মুখে শুনেছি যে, রেশিও ঠিকমত না করা ও ইট গাথুনি বা কংক্রিট ঢালাইয়েল ২৪ ঘন্টা পর পানি দেয়া বা পানি না খাওয়ানোর ফলে এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে। যার কারণে ভবিষ্যতে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নওগাঁর সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল মুনছুর আহমেদ বলেন, সেখানে খুব ভাল মানের কাজ হচ্ছে। ফাটল ধরার প্রশ্নই আসে না! কোন কালভার্ট এর কথা বলছেন আমি বুঝতে পারছি না। তবে এবিষয়ে দ্রুত মনিটরিং করা হবে।


শর্টলিংকঃ