নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) লিচু পাড়তে যাওয়ায় ৭ শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয় ইজারাদারের কর্মচারীদের হামলার ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে রাবি ছাত্রলীগের আইন অনুষদের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আশীষ, সানা, সাদ্দাম। তারা নগরীর কাজলা ও ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা। এদিকে, মামলার অন্যতম আসামি আশীষকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযানে নেমেছে মতিহার থানা পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসাসি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্করজনক। এ ঘটনায় প্রশাসনকে লিখিতভাবে কোনো পক্ষই কিছু জানায় নি। তারা অভিযোগে করলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙে দিল স্থানীয়রা
প্রক্টর বলেন, তবে কেউ লিখিত অভিযোগ না করলেও ঘটনার শোনার পর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও আমি রামেকে শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা সব সময় তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, হামলায় দুই জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কাননের অবস্থা খুব খারাপ। ওর দুই হাত ভেঙে গেছে। হামকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাহমুদুর রহমান কানন ও মেহেদিসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী রোকেয়া হলের পাশের বাগানে লিচু পাড়তে যান। বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন প্রহরী তাদেরকে লিচু পাড়তে বাধা দেন।
কানন ও মেহেদীসহ সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেওয়ার পর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয় পাহারদাররা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঠা ও লোহার রড নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে রড, স্ট্যাম্প নিয়ে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। ওই সময় নেতাকর্মীরা লিচু বাগান পাহারাদার থাকার জন্য তৈরি করা মাচার ঘরটিতে আগুন দেয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে লিচু পাড়ায় স্থানীয়দের হামলায় ৭ শিক্ষার্থী আহত