রাবির ছাত্রী হলে অনিয়ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রী হলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা এ দাবি জানায়।


মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সব পেশাজীবীর মানুষের অর্থায়নে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনা করি। কিন্তু তারা যে উদ্দেশে আমাদের লেখাপড়া করাচ্ছেন তার মূল্য কি আমরা আদৌ দিতে পারবো? আমাদের প্রতি তাদের একটা প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু তারাই যখন তাদের ছেলে মেয়েকে এক নজর দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। কিন্তু সেখানে প্রশাসন বেধে দিয়েছে নানা অনিয়ম। নিজের আত্মীয়-স্বজন আসলেও ছাত্রী হলে তাদের রাখার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এই অনিয়ম সংস্কারের দাবি জানাই।

এসময় তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার জায়গা। এখানে কাউকে জোর করে বেঁধে রাখা যায়না ঠিকই। তবে নির্দিষ্ট শৃঙ্খলার মধ্যে শিক্ষার্থীর সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এখানে ছাত্রদের চাইতে ছাত্রীরা বেশি অবহেলিত। ছাত্রদের বেলায় এক নিয়ম আর ছাত্রীদের বেলায় অন্যরকম। ছাত্রদের হলে যেকোনো গেস্ট রাখার ব্যবস্থা থাকলেও ছাত্রীদের হলে নেই। তাছাড়াও শিক্ষার্থীরা সবসময় অনিরাপত্তায় ভোগে। যার জন্য যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। আমরা এই ধরণের বৈষম্যমূলক নিয়মের সংস্কার চাই।

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুন মানববন্ধন সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, মন্নুজান হলের জান্নাতুল নাঈম, রহমতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থী ইসমাত আরা জেরিন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ। এছাড়াও কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু হাসান প্রমুখ। কর্মসূচি থেকে আগামী সোমবার গ্রন্থাগারের সামনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর এবং ছাত্রী হলে প্রাধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে তারা ঘোষণা দেয়। এসময় ছয়টি ছাত্রী হলের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলের এক শিক্ষার্থীর দশম শ্রেণি পড়ুয়া বোন রাজশাহীতে আসে চিকিৎসার জন্য আসে। পরে ওই শিক্ষার্থী তার বোনকে হলে এক রাত থাকার জন্য নিয়ে আসলে হল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ভোর ৬ টায় তার বোনকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে।


শর্টলিংকঃ