শেষটা রাঙালেন ফ্রাইলিঙ্ক


ইউএনভি ডেস্ক:

শুরুটা করেছিলেন রাইলি রুশো। তার ঝড়ের জবাবে একাদশে ফেরা সাব্বির রহমান দেখালেন ব্যাটিং কারিশমা। খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস।

দুই দলের দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মিরপুরে মোটামুটি রান উৎসব হলো। এমন দিনেও বল হাতে জ্বলে উঠলেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। পেলেন পাঁচ উইকেট। তার দৃঢ়তায় শেষ হাসি হাসলো খুলনা টাইগার্স।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে খুলনা তুলে নিয়েছে বিপিএলের ষষ্ঠ জয়। আগে ব্যাটিং করে খুলনা ২ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে। জবাবে ১৪৫ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস। এ জয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল খুলনা। অন্যদিকে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ হেরেও কুমিল্লার শেষ চারের আশা টিকে আছে এখনও। শেষ ম্যাচে তারা জিতলে এবং অন্য দলের জয়-পরাজয়ে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

শেষ ম্যাচে সাব্বির রহমান ছিলেন একাদশের বাইরে। আজ তাকে একাদশে ফেরানো হয় ওপেনিংয়ে। শুরুতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠেন সাব্বির। শুরুতে টাইমিংয়ে গড়বড় হলেও সময়ের সাথে সাথে সাব্বির ফিরে পান নিজেকে। উইকেটের চারিপাশে শটস খেলে দ্রুত রান তোলেন। সতীর্থ ভন ঝিল (১২), মালান (১) ও সৌম্য (২২) সাজঘরে ফিরলেও সাব্বির ছিলেন দৃঢ়চেতা।

৩৩ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছার পরও দ্যুতি ছড়িয়ে যান। দলকে রাখেন জয়ের লড়াইয়ে। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন। সাব্বিরের সাথে আজ জ্বলে উঠেন ইয়াসির আলী রাব্বীও। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করেন রাব্বী। কিন্তু শুরুতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেউ রান না করায় লক্ষ্যের পথ থেকে ছিটকে যায় কুমিল্লা।

বোলিংয়ে ফ্রাইলিঙ্ক ছিলেন ধ্রুপদী। ১১তম ওভারে কোনো রান না দিয়ে সৌম্য ও অঙ্কনের উইকেট নেন এ পেসার। এরপর ১৭তম ওভারেও পান জোড়া উইকেট। এর আগে শুরুতেই তার পকেটে যায় ভন ঝিলের উইকেট। সব মিলিয়ে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান এ পেসার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন এ প্রোটিয়ান।

খুলনার ইনিংসটিকে ভাগ করা যাবে তিন ভাগে। পাওয়ার প্লে’তে তারা বিনা উইকেটে তোলে ৪৪ রান। শেষ ৬ ওভারে রান ৭৬। আর মাঝের ৮ ওভারে রান এসেছে ৫৯। তাতে স্কোরবোর্ডে রান ১৭৯।

বিশাল রানের পুরো কৃতিত্ব রাইলি রুশোর। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওলটপালট হয়ে যায় কুমিল্লার বোলিং। শেষ দিকে ৪৬ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন রুশো ও মুশফিক। এতে মুশফিকের অবদান ২৪, বাকি ৬০ রান আসে রুশোর ব্যাট থেকে। ২৬ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে যান শেষ পর্যন্ত। অবশ্য ইনিংসের প্রথম বলেই বেঁচে যান এ ব্যাটসম্যান। সৌম্যর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। জোরালো আবেদন না হওয়ায় সাড়া দেননি আম্পায়ার। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭১ রান করেন রুশো।

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও কুমিল্লার সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দশম ওভার পর্যন্ত। ওই ওভারের প্রথম বলে সৌম্য ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। নাজমুল হোসেন শান্ত ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ করে আউট হন পয়েন্টে সানজামুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আরেক ওপেনার মিরাজ করেন ১ রান বেশি। ৩৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় মিরাজ ৩৯ রানের ইনিংসটি সাজান।


শর্টলিংকঃ