সংক্রমণ বাড়লে দেখা দিতে পারে চিকিৎসা সংকট


ইউএনভি ডেস্ক:

করোনাভাইরাস নিয়ে দেশজুড়েই আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসা মিলছে না। বেসরকারি হাসপাতালও এসব রোগী ভর্তি করছে না। এমনকি চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারেও এ ধরনের উপসর্গ-লক্ষণ থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ তাহলে চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবেন- এ প্রশ্ন সর্বত্রই।

সংক্রমণ বাড়লে দেখা দিতে পারে চিকিৎসা সংকট

কেন জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ আছে, এমন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া থেকে হাসপাতালগুলো ও চিকিৎসকরা বিরত থাকছেন- এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের অন্তত ১০ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসক ও নার্সরাও মানুষ। তাদেরও ভয় আছে। করোনাভাইরাসটি ছোঁয়াচে। একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমিত হয়। অথচ করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি তাদের নেই। এমনকি পরীক্ষার সরঞ্জাম ও চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) কোনো ব্যবস্থাও নেই। এ কারণে করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে। এরপর পর্যায়ক্রমে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক দেশ আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে করোনার মোকাবিলা করছে এবং কেউ কেউ সফল হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় পেয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সংক্রমিত দেশগুলো থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ প্রবাসী দেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের শুধু স্ট্ক্রিনিং করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বললেও তারা তা মানছেন না।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরও তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা সংক্রমণের পর বিদেশফেরত সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন ছিল। সেটি সম্ভব না হলে আগে থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ, বিদেশফেরত সাড়ে ছয় লাখ মানুষই সারাদেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এ পর্যন্ত আক্রান্তদের সবাই বিদেশফেরত ও তাদের সংস্পর্শে আসা স্বজন। তারা নিশ্চয়ই প্রতিবেশীদের সংস্পর্শেও এসেছেন। ফলে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রোগটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হলে আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়বে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, কিছু বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় দেশে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যে তিন মাসে সংক্রমিত দেশগুলো থেকে অবাধে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। তাদের বাসাবাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার যে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা বেশিরভাগ মানুষই মেনে চলেননি। প্রতিটি হাসপাতালে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে ওই ধরনের ইউনিট চালু হয়নি। কারণ, শুধু ইউনিট চালু করলেই তো হবে না। যারা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের নিরাপত্তাও তো নিশ্চিত করতে হবে।

চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা হয়নি। এরপর সারাদেশে আরও এক হাজার ৩৫০টি আইসোলেশন শয্যা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কি আদৌ সেবা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পিপিই না থাকার কারণে চিকিৎসকরা জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী পেলে সেবা দিচ্ছেন না। কেন দেবেন? কারণ, তিনি তো নিরাপদ নন। এ অবস্থায় সত্যিই যদি ওই ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাহলে তো যিনি সেবা দেবেন, তিনিও আক্রান্ত হবেন এবং তার মাধ্যমে রোগটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্নিষ্টরা এত দিন কাজ না করে শুধুই কথার ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন। তিন মাস সময় পেয়েও তারা করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট ও পিপিই সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। রোগটি দেশব্যাপী বিস্তার ঘটালে তখন পরিস্থিতি কী হবে? কারণ যারা সেবা দেবেন, তাদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। এটি ভাবাই যায় না। থাকলে তারা কীভাবে সেবা দেবেন? এটি কেন ভাবা হলো না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ তাহলে এত দিন কী কাজ করল? আদৌ কি কোনো পদক্ষেপ তারা নিয়েছিল, নাকি প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে শুধু বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করতে তিনি সংশ্নিষ্টদের আহ্বান জানান।

এক লাখ পিপিই, পাঁচ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক ও সার্জিক্যাল গগলস এবং অন্যান্য সরঞ্জাম চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ ক্রয় প্রক্রিয়ায় ধীরগতির নীতি অবলম্বন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে এক লাখ টেস্টিং কিট ও ১০ লাখ পিপিই প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বর্তমানে সরকারের কাছে দেড় হাজারের মতো টেস্টিং কিট এবং সমপরিমাণ পিপিই মজুদ আছে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশ’ পিপিই সারাদেশে বিতরণ করা হয়েছে।

তবে অপর একটি সূত্র জানায়, ১০ হাজার টেস্টিং কিট ও একই পরিমাণ পিপিই চালান দু’দিন আগে সিঙ্গাপুরে ছিল। সেটি এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে সেটি পৌঁছেছে কিনা, তা ওই সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। এদিকে চীন গত বুধবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে ১০ হাজার টেস্টিং কিট, ১৫ হাজার সার্জিক্যাল এন৯৫ রেসপিরেটর, ১০ হাজার মেডিকেল নিরাপত্তামূলক পোশাক ও এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার প্রদান করবে।

বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী  বলেন, করোনা মোকাবিলার চিত্র দেখে মনে হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতিতে মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক দিন পরে যে সেটি বাড়বে না, এই নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবে? একটি মাত্র স্থানে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রোগটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তখন তা কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষার পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন। কিট ও পিপিই নিয়ে কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি করছে। কেন এমনটি করা হচ্ছে? করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কী পরিমাণ কিট ও পিপিই প্রয়োজন, সেগুলো তাদের দ্রুত জানানো উচিত।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমানে কী পরিমাণ কিট ও পিপিই আমাদের হাতে মজুদ আছে, সেটি বড় কথা নয়। এগুলোর কোনো সংকট হবে না। এরই মধ্যে বেশ কিছু কিট ও সরঞ্জাম এসেছে। আরও এক লাখ টেস্টিং কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, পিপিই সব চিকিৎসকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদেরই শুধু এগুলোর প্রযোজন হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা পিপিই সংগ্রহ করছি।
আরও আক্রান্ত ৩, মোট ২০ :দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আরও তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনজন নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাল। মৃত্যু হয়েছে একজনের। অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, নতুন করে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন নারী। তার বয়স ৩৮ বছর। দু’জন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ৩০ বছর এবং অন্যজনের ৭০ বছরের বেশি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই ব্যক্তির অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা আছে। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ৩০ বছর বয়সী ব্যক্তি সম্প্রতি ইতালি ও জার্মানি থেকে ঘুরে এসেছেন। তার সংস্পর্শে থেকে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে আক্রান্ত নারী ইতালিফেরত একজনের সংস্পর্শে ছিলেন।

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা সন্দেহে বর্তমানে ৩০ জনকে পরীক্ষার জন্য আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গত চব্বিশ ঘণ্টায় সন্দেহভাজন আরও ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশফেরত ৪৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের গুঞ্জন আছে এবং তাকে আক্রান্তের তালিকায় রাখা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর জানান, ওই ব্যক্তিকে আইইডিসিআরের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাকে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা হবে। এরপর তার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

দেশে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের, অর্থাৎ সামাজিকভাবে একজনের মাধ্যমে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশফেরত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আক্রান্তদের পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের বাইরে অন্য কারও মধ্যে এখনও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।

দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। গত বুধবার দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘোষণা করে সরকার। এ পর্যন্ত মোট ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম দফায় আক্রান্ত তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে দু’জন ছিলেন ইতালিফেরত। তাদের একজনের সংস্পর্শে থেকে পরিবারের অপর এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় যে দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ইতালি এবং অন্যজন জার্মানি থেকে এসেছিলেন।

ইতালিফেরত ওই ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান আক্রান্ত হন। গত সোমবার তাদের শনাক্ত করা হয়। তারাও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত বুধবার আরও চারজন শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকায় একজন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য তিনজনের মধ্যে দু’জন ইতালি ও একজন কুয়েতফেরত।

গত বৃহস্পতিবার যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও ইতালিফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং একই পরিবারের সদস্য।ইভিএম করোনার ঝুঁকি বাড়াবে- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর :ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

গতকাল করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে আসন্ন ঢাকাসহ দেশের তিনটি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ইভিএম সিস্টেম ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, ইভিএম বাটনে বিভিন্ন ব্যক্তি স্পর্শ করবে। সুতরাং এটিতে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে।প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ঢাকাসহ দেশের তিনটি সংসদীয় আসনে আজ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


শর্টলিংকঃ