সংবাদ প্রকাশের জেরে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত উঠছে জাতীয় পতাকা


শামীম রেজা, বাগমারা:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে উঠানো হচ্ছিল না জাতীয় পতাকা। এমনই একটি সংবাদ জাতীয়, স্থানীয় এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হওয়ায় নড়ে চড়ে উঠে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সরকারী প্রতিষ্ঠান হলেও কেন উঠানো হয় না জাতীয় পতাকা। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সাধারনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা হয়। স্বাধীন দেশে সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেও মানা হচ্ছিলা না সরকারী নিয়ম-নীতি। এ যেন অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছিল।

সংবাদ প্রকাশের জেরে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত উঠছে জাতীয় পতাকা
সংবাদ প্রকাশের জেরে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত উঠছে জাতীয় পতাকা

দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কেবল জাতীয় দিবস গুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অন্য দিন গুলোতে আর উঠানো হয় না জাতীয় পতাকা। দীর্ঘ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ ও লাল সবুজের পতাকা। সেই স্বাধীনতার প্রতি এতোটুকু সম্মান দেখাতেও ভুলে গেছে সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্ত-কর্মচারীরা। জনবল সংকট না থাকলেও এ যেন তারই একটা উদাহরণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

এমন ঘটনা নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভার আলোচনায় আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন উঠেনা জাতীয় পতাকা। সেই সমন্বয় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন যে,আগামী দিন থেকে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উঠানো হবে। সেই থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উঠানো হচ্ছে জাতীয় পতাকা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বাধীনতার যুদ্ধে লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পরিচয় টুকুও যেন মুছে দেয়ার চেষ্টা। সরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই কাজই হচ্ছে না এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সরকার স্বাস্থ্য সেবায় নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করে চলেছেন। অথচ সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকাই উত্তোলন করা হয় না।

উপজেলা পরিষদ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থানা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভবনে প্রতিনিয়ত উত্তোলন হয়ে থাকে জাতীয় পতাকা। সেখানে উপজেলা পরিষদের বাহিরে থেকে কেন স্বাধীনতাকে অবমাননা করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার গোলাম রাব্বানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। তাই আমরা কেবল জাতীয় দিবসগুলোতেই জাতীয় উত্তোলন করে থাকতাম। তবে যেহেতু এটা একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান সে কারনে এখন থেকে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে না এ রকম কোন নিয়ম আমার জানা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না সেটা খতিয়ে দেখার পরেই প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ