সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অধরা


নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা :
বাম কানের নীচে গলায় ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখমের ক্ষত। গলাসহ শরীরে কোপানো জায়গায় সেলাই দেয়া হয়েছে ৫২টি। মেহেদি হাসান বাকি নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে চাইনিচ কুড়াল ও ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।


জানা যায়, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার একদিন আগে ৩০ মার্চ মেহেদি হাসান বাকিকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ফলে এবার সে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। মেহেদি হাসান বাকির রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্র। কিন্তু পরীক্ষা দেয়ার পরিবর্তে আঘাতের ক্ষত নিয়ে হাসপাতাওে বেড়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।

মেহেদি হাসান বাকি বাঘা উপজেলার তুলশিপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে। ৩০ মার্চ রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে জরুরি চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে। তার একদিন পর অবস্থা খারাপ হলে তাকে পূনরায় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তশানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে চিকিৎসাধনি রয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও দেড় সপ্তাহে অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে মেহেদি হাসান বাকির বাবা বাবুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের দুই ছেলে মুকুল হোসেন ও বকুল হোসেন, মনিগ্রাম বাজার এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে বাপ্পি, তুলশিপুর গ্রামের শুকটা ওরফে আবদুল হান্নানের ছেলে সাগর আলী একটি অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করেনি।

আহত মেহেদি হাসান বাকি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি মোবাইলে ছবি তুলছিলাম। এ সময় তারাও ছবি তুলছিল। এক পর্যায়ে তাদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। তারা রাত ৮টার দিকে আমাকে কৌশলে মনিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাইনিচ কুড়াল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে গলায় পরে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম বলেন, বাকি আমার প্রতিষ্টান থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তাকে কে বা কারা চাইনিচ কুড়াল ও ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করায় সে আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে। ফলে সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারেনি।

বাঘা থানার মামলার তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আত্নগোপনে থাকায় আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টায় তৎপর রয়েন।


শর্টলিংকঃ