সরকারি খরচে তীর্থ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন হিন্দুরা


স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, সনাতন (হিন্দু) ধর্মের মানুষও সরকারি খরচে ভারতে তীর্থ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার সকালে যশোরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুসলিম ধর্মের মানুষ সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ পান। একইভাবে সনাতন ধর্মের মানুষও সরকারি খরচে ভারতে তীর্থ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। গত বছর থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। এ বছর যাতে বেশিসংখ্যক মানুষ তীর্থে যেতে পারে সরকার সেই ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, দেশের প্রাচীন মন্দির সংস্কারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মন্দির সংস্কারে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন দখল করে রেখেছিলেন, তারা ক্ষতিপূরণ বাবদ চার কোটি টাকা চেয়েছিলেন।
স্বপন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ী ও সংসদ সদস্য-মন্ত্রীরা মিলে দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। বাকি টাকার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হই। তিনি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন মানুষ। তিনি বাকি দুই কোটি টাকা ও রেজিস্ট্রি খরচের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, একটি সরকার যদি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক হয়, তবে সেই রাষ্ট্রের কোনো প্রজার কষ্ট হয় না। সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি। সেই রাজনীতি যদি সুস্থধারায় চলে, তা হলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নিমাই চন্দ্র রায়, প্রবীণ শিক্ষক তারাপদ দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দুলাল সমাদ্দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম যশোরের সহকারী পরিচালক লিটন শিকদার, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ