সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দুই বছরেও নেই মামলার অগ্রগতি


বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার দুই বছরেও মামলার চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়নি তারা। হামলাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় য়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছে। ২০১৭ সালে সাংবাদিক আরাফাতের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে সাংবাদিক আলী ইউনুস হৃদয়কে মারধর করে ছাত্রলীগ। এগুলোর কোন দৃশ্যমান বিচার হয় নি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা প্রথমত শিক্ষার্থী, সে হিসেবে শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। তাই জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি করছি।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার এসআই শিহাবুল জানান, মামলার তদন্ত এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিব। জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুস হৃদয়, সহ-সভাপতি ইয়াজিম পলাশ, রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জয়, কোষাধ্যক্ষ সালমান শাকিল প্রমুখ বক্তব্য দেন। মানববন্ধনের সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাবি প্রধান ফটকের সামনে বাস ভাংচুরের ছবি তোলার সময় দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরাফাত রাহমানের ওপর হামলা করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আরাফাত এবং হামলায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়।


শর্টলিংকঃ