৬৭টি পূর্ণাঙ্গ মরদেহ, শনাক্ত ৪৩ হস্তান্তর ৪২


ইউএনভি ডেস্ক :

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৬৭টি পূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত ৪২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম।

ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে স্বজনদের উৎকণ্ঠা

সহসা এই লাশ হস্তান্তর ও শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। তবে, আগামী রোরবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলোর মা, বাবা, ভাই কিংবা বোনকে ডিএনএ নমুনা সিআইডি অফিসে জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ঢামেকের ফরেনসিক মেডিকেল বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ।

সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ বলেন, বাকি মরদেহগুলো চেনা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। তাদের পরিবারের লোকজনদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আজ রাতের মধ্যে এই কাজ শেষ করার সম্ভাবনা খুবই কম।

এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব পরিবারের লোকজন মর্গে থাকা মরদেহ নিজেদের স্বজনের বলে বিভিন্ন সময় দাবি করছেন, তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তালিকা দেখে মরদেহ শনাক্তকরণের কাজ চলবে।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নিহত একজনের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে স্বজনরা

ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মো. ইমরুল হাসান বলেন, বাকি মরদেহ শনাক্ত কিংবা হস্তান্তরে কিছুটা সময় লাগবে। কেননা এসব মরদেহের ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে। তাই আরও বেশি সময়ের সময় প্রয়োজন।

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পূর্ণ স্থাপন বিভাগের মাঠ কর্মী শাকিলা আক্তার বলেন, চকবাজারের আগুনের ঘটনায় সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫১টি পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে তাদের স্বজন হারানোর কথা বলেছেন। এর মধ্যে সাতজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে অফিসিয়াল কোনো তথ্য আমরা এ বিষয়ে এখনও পাইনি।

এদিকে মরদেহ হস্তান্তর ও শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ না হওয়ায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রিয়জন হারানো স্বজনদের মধ্যে। তারা হাতে এবং মোবাইল ফোনে নিখোঁজ ব্যক্তির ছবি নিয়ে পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যাচ্ছেন।


শর্টলিংকঃ