করোনার নমুনা সংগ্রহ করছে ফ্যামিলি প্লানিংয়ের কর্মীরা


এম এ আমিন রিংকু :

রাজশাহীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করছেন টিকাদান ও জন্মনিয়ন্ত্রণে কাজ করা কর্মীরা। অদক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করায় পরীক্ষার পরও বহু নমুনাতেই ফলাফল মিলছে না। এতে বিব্রত করোনা ল্যাবের চিকিৎসকরা। সঠিক নিয়মে নমুনা সংগ্রহ না করা গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা।

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনা ল্যাবে। কিন্তু পরীক্ষার কাজে জড়িত চিকিৎসকরা বলছেন, তাড়াহুড়ো করে অদক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহে মাঠে নামানো হয়েছে। তাদের নামেমাত্র অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাস্তবে তারা অনেক ক্ষেত্রেই আনাড়ির মতো কাজ করছেন। রামেক ল্যাবে পরীক্ষার কাজে জড়িত চিকিৎসকরা জানান, করোনা শনাক্তে মুখগহ্বর ও নাকের ভেতর থেকে নমুনা নেয়ার কথা। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান ইউনিভার্সাল২৪ নিউজকে জানান, পরীক্ষার ফলাফল নির্ভর করে নমুনা সংগ্রহের নির্ভুলতার ওপরে। সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা না করা হলে বিপদ বাড়বে। মাঠ পর্যায়ে কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে সেটা জানা নেই স্বাস্থ্য কর্মীদের। তবে আমাদের এই ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে প্রতিদিন নমুনা আসে তিন শতাধিক। ফলে অনেক সময় আমাদেরকে ঢাকার কোন ল্যাবের সহায়তা নিতে হয় সঠিক সময়ে পরীক্ষা শেষ করার জন্য।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, সংক্রমণের ব্যাপকতার সময় শতভাগ দক্ষ জনবল ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে অনলাইনে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ পদ্ধতি মেনে নমুনাগুলো আমাদের কাছে আসছে না। এতে অনেক নমুনার রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে না। আর যে পরিমাণ নমুনা আমাদের ল্যাবে আসে তাতে আমাদের কমপক্ষে ১২ জন টেকনোলজিস্ট দরকার। কিন্তু রয়েছে মাত্র একজন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রোববার পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১০৮জন করোনা রোগীর শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাটে সবচেয়ে বেশি ৩২জন শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন রাজশাহী কলেজ হোস্টেল ভাড়া মওকুফ করে দিলেন অধ্যক্ষ


শর্টলিংকঃ