‘গরিবদের পাশে দাঁড়ানোই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাজ’


নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাসের বিস্তারের সংকটময় মূহুর্তে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারের পাশাপাশি অনেক হৃদয়বান এবং বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

'গরিবদের পাশে দাঁড়ানোই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাজ'

এই সংকটকালীন সময়ে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মহীন শ্রমজীবী ও দরিদ্র মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী থাকার প্রতিশ্রুতি অনুসারে তিনি ইতিমধ্যে ১০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এবং যথাসাধ্য বিভিন্ন উপজেলায় ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমত নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্স/ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

আজ (৭ এপ্রিল) লক্ষীপুর মোড়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জেলার পবা, মোহনপুর, দূর্গাপুর উপজেলা সহ অন্যান্য এলাকার প্রায় ২৫০ জন হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন এবং প্রতিদিনের মত আজও অফিসে অনেক মানুষদের হাতে চাল, ডাল, তেল, সাবানের প্যাকেট তুলে দিয়েছেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক প্রভাষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ। এই সময় আসাদ বলেন, আমার সীমিত সামর্থ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত আমি সেই সব পরিবার যারা বলতে পারছে না এমন ব্যক্তিদের দিচ্ছি। আমি শুধুমাত্র রাজশাহী জেলার খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভেবে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছি।

উদ্দেশ্য হল যারা অন্য কোথাও হাত বাড়াতে বা সাহায্যের জন্য যেতে অথবা লাইনে দাঁড়াতে পারে না শুধুমাত্র তারা গোপনে যোগাযোগ করলে আমি তাদের পাশে দাঁড়াব। আপনারা যারা ইতিমধ্যে সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন এবং বিভিন্ন জায়গা হতে পাচ্ছেন তাদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি আমাকে বিব্রত করবেন না।

আর যারা একেবারে পান নাই তারাই যোগাযোগ করবেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ সবাইকে সুযোগ করে দিবেন। তিনি আরোও বলেন, প্রতিদিনই দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সঞ্চার হচ্ছে। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যাতে জনগণের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে না পড়ে। এই জন্য প্রায় সব জায়গায় অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

নিজে বাড়িতে অবস্থান করে নিরাপদ থাকবেন এবং অন্যকেও নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ৩১ টি নির্দেশনা মেনে চললে করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে আমরা সফল হবো ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বারবার বলছেন দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক, খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠী খাদ্যের সংকটে না পড়ে তার জন্য সকল স্তরের দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাধ্যমত পাশে দাঁড়ানোর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমি রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, কৃষি শ্রমিক, দিসমজুর, রিক্স/ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধ্যমতো জেলা মানুষে পাশে ছিলাম এবং থাকব। দেশের সংকটের সময় করোনা ভাইরাস হতে মুক্ত থাকার জন্য সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করি এবং বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করি।
০৭/০৪/২০২০


শর্টলিংকঃ