গোদাগাড়ীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি : 
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নামাজের জানাজা মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় গোদাগাড়ী সরকারী কলেজের সামনে আনিমা মজুমদার পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরহুমের লাশ সেখানে বিকেল সাড়ে তিনটায় নিয়ে আসা হয় । সেখানে তাকে শেষবারের মত দেখার জন্য শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।  নিজ জন্মস্থানে গোদাগাড়ীতে ষষ্ঠ জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

ব্যারিস্টার আমিনুল হকের জানাজায় মানুষের ঢল

পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, চাপাইনবাবগঞ্জ-১ সদর আসনের এমপি হারুন অর রশিদ, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহানপুর) এমপি আয়েন উদ্দিন, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু,মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল,আবু সাইদ চাঁদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ইসহাক,গোদাগাড়ী উপজেলা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অয়েজউদ্দীন বিশ্বাস,সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম সাওয়ালসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

এর আগে গত রোববার সকালে ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০০১-০৬ মেয়াদে চার দলীয় জোট সরকারের ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এ আসনের মহাজোটের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।

এর আগে গত রোববার বেলা ১২টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতাল প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের প্রথম জানাজা, বাদ জোহর সুসিুম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা ও বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা এবং বাদ আসর পল্টনে থাকা বিএনপি কার্যালয়ে মরহুমের চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়।

 


শর্টলিংকঃ