চারঘাট প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় মসজিদের একজন ইমামের বিরুদ্ধে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। পরে পরিবারের জেরার মুখে- ওই কিশোরী তার পাশের বাড়ির হুজুর শাহাজাহান তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।
ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে চারঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের চকগোচর সরকার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম শাজাহান আলী জনৈক ব্যক্তির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে (১৩)কে কৌশলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। পরিবারের জেরার প্রেক্ষিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার মাকে জানায় পাশের বাড়ির হুজুর শাজাহান তাকে ধর্ষণ করেছে।
পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা গ্রামের প্রধান মোড়লদের জানালে অভিযুক্ত ইমাম শাজাহান আলী কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইমাম শাজাহান আলীর বাড়ীতে তালা ঝুলছে। তবে স্থানীয় প্রতিবেশী মালেক, মোস্তাক আলীসহ একাধিক ব্যক্তি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত শাজাহান আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি গত কয়েক দিন পূর্বে বমি বমি ভাব করলে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক জানায় যে, মেয়েটি তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। ভিকটিম মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার কাগজপত্র হাতে পেলে দ্রুত তদন্ত করা হবে।
